শিক্ষার্থী ভিসায় কঠিন শর্ত আরোপ করল অস্ট্রেলিয়া

0

বিদেশি শিক্ষার্থীদের আগমন নিয়ন্ত্রণে এবার ভিসার আবেদন করতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের প্রদর্শনের জন্য সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে অস্ট্রেলিয়ার সরকার। শুক্রবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে এই তথ্য।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যেসব বিদেশি শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়ায় ভিসার জন্য আবেদন করবেন, তাদের অবশ্যই ন্যূনতম ২৯ হাজার ৭১০ অস্ট্রেলীয় ডলারের বাংলাদেশি মুদ্রায় (২১ লাখ ৪৬ হাজার ৯২২ টাকা) সমপরিমাণ অর্থ সঞ্চিত থাকতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই সঞ্চিত অর্থ সংক্রান্ত ব্যাংক নথি প্রদর্শন করতে হবে।

আগামীকাল শুক্রবার থেকে নতুন এই নিয়ম কার্যকর করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে সরকারি বিবৃতিতে।

প্রসঙ্গত, কানাডার মতো অস্ট্রেলিয়ারও বিদেশি মুদ্রা উপার্জনের একটি বড় খাত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এই খাত থেকে ৩৬ হাজার ৪০০ কোটি অস্ট্রেলীয় ডলার আয় করেছে দেশটি।

করোনা মহামারির পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের আগমনের হার বেড়েছে। তবে এই শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই পড়াশোনা শেষে সেখানে স্থায়ী হওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে পাড়ি জমিয়েছেন। মহামারির আগে যেসব শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলেন, তাদেরও একটি বড় অংশ আর নিজ দেশে ফেরত যাননি। ২০২৩ সালের গোটা বছরে বিভিন্ন দেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছেন রেকর্ড ৫ লাখ ৪৮ হাজার ৮০০ জন শিক্ষার্থী। দেশটির ইতিহাসে এর আগে এক বছরে এত বেশি সংখ্যক আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর আগমণ ঘটেনি।  

এই বিপুল সংখ্যক অভিবাসী আগমনের সরাসরি প্রভাব পড়েছে দেশটির আবাসন ব্যবস্থায়। আবাসন ব্যায় দিন দিন বাড়ছে অস্ট্রেলিয়ায়, ফলে নাগরিকদেরও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

এর আগে গত মার্চে ভিসা আবেদনের জন্য শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষায় আবশ্যিক দক্ষতা বৃদ্ধির শর্ত দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার সরকার। সেই সঙ্গে ডিগ্রি অর্জনের পর দীর্ঘসময় অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসের নিয়মও বাতিল করেছিল।

এদিকে, অস্ট্রেলিয়ার কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় অবৈধ অভিবাসন বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো। শুক্রবার দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লার ও’নিল এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, সম্প্রতি তার মন্ত্রণালয় থেকে এমন ৩৪টি বিশ্ববিদ্যাল্যয়কে সতর্ক করে চিঠি দিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, আইন বহির্ভূত কাজে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম চিরতরে বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

‘আশা করছি, আগামী ২ বছরের মধ্যে অভিবাসনের হার আমরা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে সফল হবো,’ বিবৃতিতে বলেছেন ক্লার ও’নিল।

সূত্র : রয়টার্স

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here