দুইজনই বাঁ-হাতি ফাস্ট বোলার— একজন অস্ট্রেলিয়ার দলের মূল ভরসা, অসি পেস আক্রমণের অন্যতম স্তম্ভ। আরেকজন পাকিস্তানের গতি অস্ত্র। বয়স ও অভিজ্ঞতায় পার্থক্য থাকলেও দুইজনই নিজ দেশের ক্রিকেটের অমূল্য সম্পদ।
এদের মধ্যে মিচেল স্টার্ক সম্প্রতি অ্যাশেজ সিরিজে গড়েছেন দুর্দান্ত এক রেকর্ড। বাঁ-হাতি পেসারদের মধ্যে টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি এখন এই অস্ট্রেলিয়ান। তিনি পেছনে ফেলেছেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরামকে। স্টার্ককে দেখেই নিজের ক্যারিয়ার গড়তে অনুপ্রেরণা পেয়েছেন শাহীন আফ্রিদি। পাকিস্তানি পেসার যখন বয়সভিত্তিক দলে খেলতেন, ঠিক তখনই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দারুণ ছন্দে স্টার্ক। বাঁ-হাতি পেসার হওয়ায় তাঁকে অনুসরণ করতেন শাহীন। আইসিসির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, স্টার্ক তাঁর ক্রিকেটজীবনের অন্যতম বড় অনুপ্রেরণা।
শাহীন বলেন, “স্টার্ক যখন ২০১৫ বিশ্বকাপে খেলছিলেন, তখন আমি অনূর্ধ্ব-১৬ দলের খেলোয়াড়। আমি চেষ্টা করতাম তার মতো করে বোলিং করতে এবং সুইং ধরাতে।”
২০১০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া স্টার্ক অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের অনুষ্ঠিত ওই বিশ্বকাপে আগুন ঝরা বোলিং উপহার দেন। ৮ ম্যাচে ২২ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার পঞ্চম শিরোপা জয়ে রেখেছিলেন বড় অবদান।
তিনি বলেন, “ওই বিশ্বকাপজুড়ে তিনি (স্টার্ক) ফুলার লেন্থে বল করেছিলেন এবং দারুণ সাফল্য পেয়েছিলেন।”
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চলতি অ্যাশেজেও চমৎকার ফর্মে আছেন ৩৫ বছরের স্টার্ক। প্রথম দুই টেস্টে তার উইকেটসংখ্যা ১৮। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে ২–০ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া।
নিজের পুরো ক্যারিয়ারজুড়ে স্টার্কের বোলিং মনোযোগ দিয়ে অনুসরণ করেছেন ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখা শাহীন। আন্তর্জাতিক ম্যাচে যখনই দুজনের দেখা হয়, স্টার্কের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন তিনি।
শাহীন বলেন, “শেষবার যখন আমাদের কথা হয়েছিল, তাকে বলেছিলাম যে আমি তাকে (২০১৫ বিশ্বকাপে) দেখেছিলাম… আর সেই কারণেই আমি ব্যাটারদের সামনে ফুলার লেন্থে বল করি।”
তিনি বলেন, “আমি বলতে পারি, তিনি যেকোনো তরুণ ফাস্ট বোলারের জন্য রোল মডেল… বহু বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ার জন্য তিনি সেরাদের একজন।’’

