কক্সবাজারের টেকনাফ শাহপরীরদ্বীপ ঘোলার চরের নাফনদীতে ২৫ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের একটি কোরাল মাছ ধরা পড়েছে এক জেলের বড়শিতে। মাছটি টেকনাফ পৌরসভার বাজারে ২৬ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছেন ভাই ভাই ফিশিং আড়তের মালিক মোহাম্মদ আমিন।
জানা গেছে, রবিবার বিকালে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ ঘোলার চর এলাকার জেলে আবুল ফয়েজের বড়শিতে মাছটি ধরা পড়ে। পরে তিনি সেটি শাহপরীরদ্বীপের দক্ষিণ পাড়ার মাছ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জালালের কাছে বিক্রি করে দেন।
মাছ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জালাল বলেন, টেকনাফ পৌরসভার বাসস্টেশন বাজারে নিয়ে মাছটি প্রতি কেজি ১২শ’ টাকা দরে বিক্রির জন্য দাম দিয়েছিলাম। পরে মাছটি টেকনাফ পৌরসভার ভাই ভাই ফিশিং আড়তের মালিক মোহাম্মদ আমিনকে ১১শ’ টাকা কেজি দরে ২৬ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি।
জেলে আবুল ফয়েজ বলেন, প্রায় ৬ বছর ধরে নাফনদীতে নৌকা নিয়ে মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। শাহপরীরদ্বীপ ঘোলার চরে বসে নাফনদীতে সকালে বড়শি ফেলেন তিনি। প্রায় ২০ মিনিট পর তিনি বড়শি টেনে তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু বড়শি বেশ ভারি মনে হওয়ায় আরও একজনের সহযোগিতা নেন। পরে বড়শি টেনে তুলে দেখেন- একটি কোরাল মাছ আটকা পড়েছে। মাছটির ওজন ছিল ২৫ কেজির মতো। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মাছটি দেখতে স্থানীয় লোকজন ঘোলার চরে ভিড় করেন।
টেকনাফ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, কোরাল দ্রুত বর্ধনশীল মাছ। পরিবেশ ভালো পেলে মাছটি সাধারণত ৩০ থেকে ৩৫ কেজি ওজনের হয়ে থাকে। কোনও কোনও সময় এর বেশি ওজনের কোরালও পাওয়া যায়। এই নদীর মাছ খুবই সুস্বাদু। তাই জেলেরা দামও ভালো পেয়ে থাকেন।
প্রজনন মৌসুমসহ সরকারি বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা মেনে চলায় নাফ নদীতে এখন বড় বড় কোরাল মাছ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান তিনি।