প্রচণ্ড তাপদাহ রাজবাড়ীতে। আষাঢ়ের শুরুতে বৃষ্টির অপেক্ষায় প্রাণিকূল। সকালের সূর্য দুপুর গড়াতেই তাপ ছড়াচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। প্রকৃতির এমন রূপে রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নের আফরা মাঠে দেখা মিলছে শত শত শামুকখোল পাখির। তাদের উড়াউড়িতে চারপাশ মুখর হয়ে উঠছে।
মাঠের এক পাশে উচু ভবন, অন্যপাশে বড় বাগান। আরেক প্রান্তে পাখিরা নিজেদের রাজ্য গড়ে তুলেছে। প্রতিদিন মানুষ আসছেন তাদের দেখার জন্য। রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে মাঠটি হওয়ার কারণে বিভিন্ন যানবাহন থেকে দেখা যায় পাখিগুলো।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বেশ কয়েকদিন পাখিগুলো এখানে আসছে। শামুকখোলসহ ৪/৫ প্রজাতির পাখি হবে এখানে। বেশিরভাগ পাখি হল শামকখোল। তবে তাদের সাথে রয়েছে বেলে হাঁস, সাদা বক। এর আগে কোনদিন পাখিগুলো দেখা যায়নি। এই মাঠে মূলতো কাঁদাপানি রয়েছে। রাতে আফরা বাজারের পাশে বাগানে অবস্থান করে পাখিগুলো। মূলতো ধান কাটার পর এই মাঠে জমে আছে। সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির পোকামাকড়, শামুক থাকার কারণে পাখিগুলো এখানে অবস্থান করে। তবে পাখিগুলোর বেশিরভাগ বাইরের দেশ থেকে আসছে। হাজার হাজার পাখির মধ্যে দেশির প্রজাতির পাখিও রয়েছে।
বৃহস্পতিবার আফরার বিলে দেখা যায়, শত শত শামুকখোল প্রজাতির অতিথি পাখির মিলনমেলা আফরার বিলে। মনের আনন্দে কাঁদামাটির পানিতে দাপাদাপি। সেই সঙ্গে চলে পাখিদের খুনসুটি। আবার কখনো ডানা মেলে নীল আকাশে ওড়াউড়ি। এভাবেই দিনভর বিভিন্ন করসতে মেতে ওঠা তাদের।
ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে আফরা বিল। বিলে শামুকখোল, বালি হাঁস, বক পাখির বিচরণ রয়েছে। রাস্তা থেকে পাখিগুলো দেখার জন্য ভিড় করছেণ পাখিপ্রেমীরা। স্থানীয় প্রশাসন বলছেন পাখিদের সুরক্ষা দিতে তারা কাজ করছেন।
বিকেলে পাখি দেখতে আসেন রাজবাড়ী পৌরসভার বাসিন্দা সোনালী সেন, তিনি বলেন আমরা বিকেলে ঘুরতে আসছি। হঠাৎ দেখি শত শত পাখি বিলে মধ্যে বসে আছে। বক ছাড়া অন্য পাখিগুলো চিনি না। রাস্তা থেকে পাখিগুলো দেখলাম। এখানে এসে খুব ভালো লাগে। পাখির ডানা ঝাপটানো মুগ্ধ করছে আমার বাচ্চাদের। আমরা ফোনে ছবি তুলে নিয়েছি।
রাজবাড়ী সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. খায়ের উদ্দীন আহমেদ বলেন, পাখিগুলোর ব্যাপারে আপনার কাছ থেকে প্রথম জানতে পারলাম। পাখিগুলো বিলুপ্ত প্রজাতির পাখি হতে পারে। পাখি রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সকলের। পাখিগুলোকে যেন আমরা বিরক্ত না করি। যদি কেউ পাখি শিকার করতে চায় তবে আইনগত ব্যবস্থার গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।