রংপুরের হারাগাছের চর ধুমগাড়া এলাকায় শতভাগ বালু জমিতে মিশ্র ফলের বাগান করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ৭০ রছর বয়সী কবি ও লেখক আতাউল করিম অতুল। তিন একর বালু জমিতে গড়ে তুলেছেন হাজী জিয়ারত উল্লা কৃষি পল্লী। এর পাশে রয়েছে পুকুর। পুকুরে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। বাগানে রয়েছে ২ শত ভারত সুন্দরী বড়ই গাছ, ২ শত পেঁপে, আমগাছ ৫০টি, লিচু গাছ ৩৫টি, সুপার ভাগোয়া বেদানা ১০০টি, কমলা ফলের গাছ ১০টি, মালটার গাছ ৩৫টি, লটকন ১০টি, তেজপাতা গাছ ৮০টি।
বাগানে গাছের ফাঁকে ফাঁকে চাষ করা হয়েছে পেয়াজ, রসুন। বাগান ঘিরে রয়েছে কয়েকটি কলা গাছ। ধুমগাড়া চরে গড়ে উঠা হাজী জিয়ারত উল্লা কৃষি পল্লী বাগান কৃষি সংশ্লিষ্টরা পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। অতুলের দেখাদেখি অনেকে বালু চরে বাগান করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তার বাগানের ভারত সুন্দরী বড়ই বিক্রি হচ্ছে রংপুর সিটি বাজারে। ব্যাপারীরাও বাগানে এসে বড়ই ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন। এর পর আসবে আমের মৌসুম। বিক্রি করছেন পেঁপেও।
তিনি বলে, নদীমাতৃক দেশ আমাদের নদীর অববাহিকায় প্রচুর বালু। বাগানের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে মরা তিস্তা। এখন অনেকেই ফল বাগানের দিকে ঝুকছে। বাগানগুলো হচ্ছে কৃষি জমিতে। ধীরে ধীরে কৃষি জমি কমে যাচ্ছে। আমি যে পদ্ধতিতে বাগান করেছি। সেই ভাবে যদি বাগান করা হয়। তাহলে আমরা নদীর দুইপাড়ের বালু জমিতে ফসল উৎপাদন করতে পারব। আর কৃষি জমিতে থাকবে কৃষি ফসল। ফল ফসলে ভরে উঠবে দেশ।
কাউনিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানাজ পারনি বলেন, আমি বাগান পরিদর্শন করেছি। এটি একটি ভাল উদ্যোগ। তার দেখাদেখি অনেকেই হয়ত বালুতে বাগান করবে।