ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের হামলা থেকে রক্ষায় লোহিত সাগরে গঠিত মার্কিন নেতৃত্বাধীন টাস্কফোর্সের অংশ হিসেবে সেখানে কোনও যুদ্ধ জাহাজ পাঠাবে না অস্ট্রেলিয়া।
দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রিচার্ড মার্লেস এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, হুথি বিরোধী মার্কিন নেতৃত্বাধীন ওই টাস্কফোর্সের অংশ হিসেবে কোনও যুদ্ধ জাহাজ পাঠানো হবে না। বরং সেখানে ১৬ জন সেনা পাঠানো হবে।”
মার্কিন নেতৃত্বাধীন এই পদক্ষেপে অস্ট্রেলিয়া যোগ দেবে কিনা তা নিয়ে বিগত কয়েক দিন ধরেই বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। কারণ অস্ট্রেলিয়ার কেউ কেউ মধ্যপ্রাচ্যের পানি সীমার এই উত্তেজনায় নিজেদের অংশ নেওয়ার বিরোধিতা করছিলেন।
এ প্রসঙ্গে মার্লেস বলেছেন, দক্ষিণ চীন সাগরে শিপিং লেন সুরক্ষার জন্য আমাদের পানি সীমার কাছাকাছি যুদ্ধজাহাজের প্রয়োজনের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ চীন সাগরও আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ রুট যেখানে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানিজ এর আগে লোহিত সাগরে যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর বিরোধিতার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তার এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছিল চীন। চীনের বক্তব্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা মিত্রদের পাশাপাশি সেখানে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করা হলে এই অঞ্চলে উত্তেজনা আরও বাড়বে।
এদিকে, ইসরায়েলের বিরোধিতাকারী ইরান-সমর্থিত বিদ্রোহীদের বারবার আক্রমণের পর চলতি সপ্তাহের শুরুতে একটি নতুন জোট গঠনের ঘোষণা দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
প্রাথমিকভাবে এই জোটে ১০ দেশের অংশ নেওয়ার কথা জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সেগুলো হল- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, বাহরাইন, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সেশেলস এবং স্পেন। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, আল জাজিরা