লোকসান কাটিয়ে লাভের সম্ভাবনা দেখছেন মেঘনা চরের কৃষকরা

0

এবার লোকসান কাটিয়ে লাভের সম্ভাবনা দেখছেন কুমিল্লার মেঘনা চরের কৃষকরা। মালচিং বা জমিতে প্লাস্টিকের আবরণ দিয়ে মাটির গুণাগুণ রক্ষা ও কীটনাশক প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে আগে কখনোই ফসল চাষ করেননি মেঘনা উপজেলার হরিপুর গ্রামের নদীর চরের কৃষকরা। এছাড়া ঋতুভিত্তিক ফলনের জাত কিংবা সরকারিভাবে মাটি পরীক্ষা করে সারের ব্যবহার করলে উৎপাদন ব্যয় কমে আসে, এ নিয়েও কোন ধারণা ছিলো না মেঘনা ও কাঠালিয়া নদীর দুর্গম চরের কৃষকদের। 

অথচ কুমিল্লার মেঘনা- গোমতী- কাঠালিয়া নদীর অববাহিকা ও চরের উর্বর মাটিতে ফলন উৎপাদন হার অন্যান্য জায়গার তুলনায় দ্বিগুণ। পেঁয়াজ, রসুন, আলু, মরিচ, শসা ছাড়াও উচ্চমূল্যের হানিডিউ, রকমেলন, ক্যাপসিকামসহ নানা জাতের বিদেশি প্রজাতির ফসল উৎপাদনেরও ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে এই অঞ্চলে। 

এসব প্রান্তিক কৃষকদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রান্ত এগ্রো রিসার্চ এ্যান্ড ডেভলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ।  উচ্চ মূল্যের নিরাপদ ফসল চাষাবাদ কৌশল এবং বাণিজ্যিক সম্ভাবনা বিষয়ক সেমিনার আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে কৃষকদের আধুনিক কৃষি সম্পর্কিত পরামর্শ দেন গার্ডেন ফ্রেশ বাংলাদেশের সিইও ইব্রাহিম মোশারফ। এছাড়া কৃষকদের সাথে নিজের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন খুলনা অঞ্চলের শ্রেষ্ঠ কৃষক ও প্রকৌশলী শেখ ফয়সল আহমেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানটির মহাব্যবস্থাপক মো. বকুল হোসেন। 

প্রশিক্ষণে মেঘনা উপজেলার শতাধিক কৃষক রকমেলন, ক্যাপসিকাম, শসা, বড়ই, পেয়ারা চাষ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এছাড়া ফসল রোপন, ফলন উত্তোলন এবং বাজারজাতকরণের কলাকৌশল সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।  

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here