আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের জন্য শনিবার পুরো দেশে ১৯৫টি আসনে প্রার্থীদের প্রথম তালিকা ঘোষণা করেছে বিজেপি। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ২০টি আসন।
রবিবার সকাল থেকে নির্বাচনি প্রচারণায় বেরিয়ে পড়েছেন প্রার্থীদের অনেকেই। রবিবার দেশটিতে সরকারি ছুটির দিন। আর তাই ভোটারদের কাছে টানতে বাজার-ঘাট চষে ফেললেন বিজেপির প্রার্থীরা।
মুর্শিদাবাদে নিজের সমর্থনে দেয়াল লিখন শুরু করেন মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী গৌরী শংকর ঘোষ। রাণাঘাট কেন্দ্রে দেয়াল লিখন দিয়ে ভোটের প্রচারণা শুরু করেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সাথে নিয়ে নিজের গ্রামের বেশ কয়েকটি দেয়াল লিখনে হাত লাগান। শান্তিপুরের ডংক্ষীরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে ছোট শিশুদের পোলিও টিকা খাওয়ান। একইসঙ্গে গ্রামের কালী মন্দিরে প্রণাম সেরে পায়ে হেঁটে ভোট প্রচারে নেমে পড়েন।
হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে পরপর দু’বার টিকিট পেয়ে আপ্লুত বিজেপি প্রার্থী অভিনেত্রী লকেট চ্যাটার্জি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এবার বাংলা থেকে আমরা প্রধানমন্ত্রীকে ৩৫টি আসন উপহার দেব। নিজের জয়ের প্রতি সিংহভাগ আশ্বস্ত হয়ে লকেট চ্যাটার্জি বলেন যে গতবারের তুলনায় দ্বিগুণ ভোটে জয়ী হবেন।
তবে প্রথম তালিকায় বিজেপি প্রার্থী হিসেবে মেদিনীপুরের বর্তমান সাংসদ দিলীপ ঘোষের নাম না থাকলেও রবিবার ছুটির দিনে জনসংযোগে নামলেন তিনি। এদিন সকাল থেকে মেদিনীপুর শহরের গেটবাজার এলাকাতে জনসংযোগে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেল তাকে। বরং অন্যান্য দিনে যেভাবে জনসংযোগ করেন, এদিন সকাল থেকে সবজি বাজারের ভেতরে ঢুকে তার এই জনসংযোগ ছিল কার্যত লোকসভা নির্বাচনের প্রচারণা।
তবে প্রথম তালিকাতে প্রার্থী হিসেবে নিজের নাম না থাকা নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, এটা পরীক্ষামূলক একটা পদ্ধতি। গত বিধানসভা নির্বাচন থেকে দল প্রয়োগ করছে। বেশ কিছু আসনে নীতিগত কারণে আগে নাম ঘোষণা করা হয়। এবারও তাই হয়েছে, বাকিদের পরে হবে। এতে সংশয়ের কোনো কারণ নেই।
শুধু তাই নয়, নাম ঘোষণার পরেই শনিবার রাত থেকেই বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে দেয়াল লিখন শুরু হয়ে যায়।
তবে এরই মধ্যে বিজেপির কাছে বড় ধাক্কা আসানসোল কেন্দ্র থেকে ভোজপুরি গায়ক পবন সিংয়ের নাম প্রত্যাহারের ঘোষণা। শনিবার নাম ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে নাম প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন পবন সিং। তিনি লেখেন, ‘আমি বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। দল আমাকে বিশ্বাস করেছিল এবং আসানসোল থেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছিল। কিন্তু কিছু কারণে আমি আসানসোল থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারব না।’ যদিও বিষয়টি নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি রাজ্যটির শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।