উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলে গত দুই সপ্তাহে অন্তত ৬১ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ‘ইমার্জেন্সি মেডিসিন অ্যান্ড সাপোর্ট সেন্টার’ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
কর্তৃপক্ষের বরাতে ইনফোমাইগ্রেন্টস এক প্রতিবেদনে জানায়, লিবিয়া ও তিউনিসিয়ার সীমান্তঘেঁষা উপকূলীয় শহর জুয়ারা ও রাস ইজদির অঞ্চল থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মেলিতাহ অঞ্চল থেকে তিন জন এবং জুয়ারা এলাকা থেকে ১২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়াও জুয়ারা অঞ্চলের আবু কামাশ ও মেলিতাহ এলাকা থেকে আরও ৩৪টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলোর মধ্যে এখন পর্যন্ত ১২ জনের মরদেহ দাফন করা হয়েছে এবং বাকি মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে প্রাণহানির ঘটনা নতুন নয়। এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী ইউরোপে পৌঁছাতে লিবিয়াকে একটি ‘ট্রানজিট পয়েন্ট’ হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। তারা বিপজ্জনক ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করে, যা প্রায়ই প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে লিবিয়ায় বিশ্বের অন্তত ৪৫টি দেশের প্রায় ৯ লাখ শরণার্থী অবস্থান করছে। সংস্থাটি আরও জানায়, ২০২৫ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ভূমধ্যসাগরে এক হাজারের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু বা নিখোঁজ হয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের সেপ্টেম্বরে, সুদান থেকে আসা ৭৫ জন অভিবাসী নিয়ে একটি নৌকা ডুবে গেলে ৫০ জনের মৃত্যু হয়।