তিস্তা, ধরলা ও সানিয়াযান নদী বেষ্টিত লালমনিরহাটে টানা ২১দিনের ঠাণ্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে জনজীবন। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় শীতের প্রভাব পড়ছে এ জেলার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষের জীবনে। বিশেষ করে চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষররা কষ্ট পোহাতে হচ্ছে তুলনামূলক বেশি।
শনিবার সকালে লালমনিরহাটে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কনকনে এই ঠাণ্ডায় জবুথবু লালমনিরহাটের জনজীবন। জেলার বিভিন্ন স্থান ও চরাঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে ঘন কুয়াশায় ঢেকে রয়েছে রাস্তাঘাট। আর হিমেল হাওয়া থাকায় কনকনে ঠাণ্ডায় প্রয়োজন ব্যতিত ঘর ছাড়েন অধিকাংশরা। তবে জীবিকার তাগিদে শ্রমজীবীরা শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে বের হয়েছেন। শীতার্ত ও ছিন্নমূল মানুষ শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে বাড়ির আঙিনা ও ফুটপাতসহ চায়ের দোকানের চুলায় বসে আগুন পোহাচ্ছেন।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, জেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলসহ পাচ উপজেলায় এরই মধ্যে ৬০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরো ৫০ হাজার কম্বলের চাহিদা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে।
তবে ঠান্ডায় কাহিল মানুষদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বরাদ্দকৃত কম্বল যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন জেলার সচেতন মহল। চরাঞ্চলসহ জেলার পাঁচ উপজেলার শীতার্ত অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহবান তাদের।