বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় লবণাক্ত জমিতেও এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে, কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি। এই উপজেলায় তীব্র লবণাক্ত জমিতে বাগদা চিংড়ি চাষ হয়ে আসলেও চিড়িংতে রোগবালইসহ ঘনঘন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে কৃষকরা বোরো ধান চাষে এগিয়ে এসেছে।
চলতি মৌসুমে রামপাল উপজেলায় ৪ হাজার ৭০১ হেক্টর জমিতে লবণ সহিষ্ণু জাতের উন্নত জাতের বোরো ধানের আবাদ বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষি বিভাগ বলছে, এবার রামপালে বোরো ধান থেকে ২০ হাজার ৬৬১ মেট্রিকটন চাল উৎপাদন হবে। ইতোমধ্যেই কৃষকরা ক্ষেত থেকে তাদের উৎপাদিত বোরো ধান কর্তন শুরু করেছেন।
রামপাল উপজেলার বড়দিয়া গ্রাামের কৃষক মোন্তাজ মোল্লা, সিংগড়বুনিয়া গ্রামের কৃষক বাকিবিল্লাহ ও হুড়কা ইউনিয়নের পার্থ মন্ডল জানান, আমাদের উপকূলীয় এলাকার মাটি ও পানিতে তীব্র লবণাক্ত থাকে। সেকারণে আমরা জমিতে বাগদা চিংড়ির চাষ করে থাকি। চিড়িংতে রোগবালইসহ ঘনঘন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে প্রায় প্রতি বছরই আমাদের ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। এবার উপজেলা কৃষি অফিস লবণ সহিষ্ণু জাতের উন্নত জাতের বোরো ধান চাষে কৃষকদের আগ্রহী করার পাশাপাশি সময়মত বীজ, সার ও কৃষি উপকরণ দিয়ে সহয়তা করায় এবার বাম্পার ফসল পেয়েছি। আমরা বোরো ধান কাটা শুরু করেছি। আশা করি আগামীতেও কৃষি অফিস থেকে আমাদের মতো গরিব কৃষকদের এভাবে সার, বীজ দিলে আমরা কৃষিতে আরো ভালো ফসল ফলাতে পারবো।