গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প দেখলো নরসিংদীসহ পুরো দেশবাসী। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর মানুষের মধ্যে এখনো আতঙ্ক কটেনি। প্রতিনিয়ত উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে এই জেলার মানুষজন। শুক্রবার সকালের ভূমিকম্পে বাবা-ছেলেসহ পাঁচজন নিহত এবং শতাধিক লোকজন আহতের খবর পাওয়া গেছে।
শক্তিশালী ভূমিকম্পে পুরো জেলা কেঁপে উঠেছিল। বিশেষ করে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল হিসেবে চিহ্নিত নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালের মানুষ আতঙ্কে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ছোটাছুটি করতে থাকেন। এসময় ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাবস্টেশনের একটি ট্রান্সফর্মারে আগুন লেগে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অন্য ট্রান্সফরমারগুলোর বেশিরভাগ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
সরেজমিন নরসিংদী পলাশ ও মাধবদী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি নিয়েই দাঁড়িয়ে আছে জেলার বিভিন্ন উচ্চ স্থাপনা। পলাশ রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ ক্যাম্পাস আঙিনায় মাটি দেবে গেছে। প্রধান ফটকের সামনের একটি টিনশেডের চালা ঘরের ভিটা (ফ্লোর) ভেঙে চৌচির হয়ে গেছে।
ঘোড়াশাল ডেইরি ফার্মের ভেতরে মাটিতে ব্যাপক ফাটল দেখা দিয়েছে। সেখানকার মাটি ফেটে আদালা হয়ে গেছে। সেখানে মাটিতে কমপক্ষে ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি ফাঁকf হয়ে গেছে। ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে আগুন লেগে যায়। এছাড়া নরসিংদী শহর মাধবদী, পলাশ ও ঘোড়াশালে একাধিক ভবন হেলে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে ভূমিকম্পের সময় ঘর থেকে বের হওয়ার সময় নরসিংদী শহরের গাবতলী এলাকায় ছয় তলা নির্মাণাধীন ভবনের দেয়াল ধসে বাবা ছেলের মৃত্যু হয়। এ সময় মেয়ে তাসফিয়াও আহত হয়েছেন।
নরসিংদী জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোসেন জানান, প্রতিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসকদের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভূমিকম্পে নিহতদের দাফন কাফনের ব্যবস্থায় ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা এবং আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

