পাইলস কোনো লজ্জার রোগ নয়—এটি খুবই সাধারণ একটি ব্যাধি। অথচ ভুল ধারণা ও লজ্জার কারণে অনেকেই সময়মতো চিকিৎসা নেন না। ফলে সহজ সমস্যা বড় যন্ত্রণায় পরিণত হয়। আমাদের মূল বার্তা একটাই, লজ্জা নয়, সচেতনতা; নীরবতা নয়, চিকিৎসা।
আঁশযুক্ত খাবার, পরিমিত পানি, ব্যায়াম আর কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ন্ত্রণ—এই ছোট পরিবর্তনগুলোর মাধ্যমেই পাইলস প্রতিরোধ সম্ভব। মানুষ যেন জানে—পাইলস প্রতিরোধযোগ্য, চিকিৎসাযোগ্য এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—এটা মানসিক লজ্জার বিষয় নয়। প্রাথমিক অবস্থায় অপারেশন ছাড়াই চিকিৎসা সম্ভব।
অ্যালায়েন্স কলোরেক্টাল ও বায়োফিডব্যাক সেন্টারের আহ্বানে অনুষ্ঠিত এই সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডা. ইসমাত জাহান লিমা, ল্যাপারোস্কপিক, কলোরেক্টাল ও পেলভিক ফ্লোর সার্জন, অধ্যাপক ডা. মো. তৌহিদুল ইসলাম, কলোরেক্টাল ও ল্যাপারোস্কপিক সার্জন এবং ডা. মোহা. মেজবাহুল বাহার (কলোরেক্টাল, ল্যাপারোস্কোপিক অ্যান্ড পেলভিক ফ্লোর সার্জন)।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ও বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক আকরাম খান, নারী ক্রিকেট দলের ক্রিকেটার জান্নাতুল ফেরদাউস সুমনা, বর্ষীয়ান অভিনেত্রী দিলারা জামান, বিশিষ্ট চলচিত্র অভিনেতা আব্দুন নূর সজল, দেশবরেণ্য চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. মো. রাশিদুল হাসান (বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ), অধ্যাপক ডা. এস. এম. আমজাদ হোসেন, (জেনারেল অ্যান্ড ল্যাপারোস্কপিক সার্জন), অধ্যাপক ডা. মো. মিজানুর রহমান (ইউরোলজিস্ট ও এন্ট্রোলজিস্ট), ডা. বিলকিস মাহমুদা (অবস্ অ্যান্ড গাইনি বিশেষজ্ঞ) এবং অধ্যাপক ডা. মো. মামুনুর রহমান (অ্যাডভান্সড ল্যাপারোস্কপিক, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল ও জেনারেল সার্জন) প্রমুখ।
বক্তব্যে উঠে আসে অ্যালায়েন্স হাসপাতালের পক্ষ থেকে অ্যালায়েন্স কলোরেক্টাল ও বায়োফিডব্যাক সেন্টার এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে বাংলাদেশে প্রথমবারের মত ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাপ্রোচে পুরুষ এবং নারী চিকিৎসকের সমন্বয়ে অত্যাধুনিক চিকিৎসা ও বাংলাদেশে একমাত্র বায়োফিডব্যাক সাপোর্ট প্রদান করে যাচ্ছে। নারী চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে হচ্ছে ব্যথামুক্ত কলোনোস্কপি এন্ডোস্কপির মতো চিকিৎসা ও রোগ নির্ণয়।
এ ব্যাপারে অ্যালায়েন্স হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, আমরা আশা করি, ভবিষ্যতে আমাদের এই চিকিৎসাসেবা অব্যাহত থাকবে এবং সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আরও উন্নত করা হবে।

