লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে চর লরেন্স উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। নির্যাতনের পর ওই ছাত্রকে স্কুল ত্যাগের ছাড়পত্রও (টিসি) দেওয়া হয়।
মারধরে আহত ছাত্রকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক।
ভুক্তভোগী স্কুলছাত্র ইয়াছিন আরাফাত সজল উপজেলার চর লরেন্স গ্রামের তুলাতলী এলাকার আহসানুল্লার ছেলে ও চর লরেন্স উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র। অভিযুক্ত ওমর ফারুক দোলন চর লরেন্স উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। এছাড়া রেজাউল করিম একই স্কুলের সহকারী শিক্ষক।
এদিকে এই ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ এবং অসন্তোষ বিরাজ করছে। ভুক্তভোগীর স্বজন ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যালয় যায় সজল। পরে স্কুলের সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম তাকে প্রধান শিক্ষক দোলনের কাছে নিয়ে যায়। এ সময় স্কুলে অনুপস্থিতির কথা জানতে চাইলে চুপ থাকে সজল। একপর্যায়ে তাকে (সজল) বেধড়ক মারধর করেন সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম ও প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক দোলন। মারধরে তার গাল, মাথা ও পিঠে দাগ হয়ে যায়। পরে তাকে টিসির কাগজ ধরিয়ে দিয়ে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়া হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক দোলন বলেন, ওই ছাত্র বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ইভটিজিং করেছে। এ নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে সে কোনো উত্তর না দেওয়ায় সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম তাকে থাপ্পড় মারে। ভয় দেখানোর জন্য তাকে টিসি দেওয়া হয়েছে। তার বাবা আমার বন্ধু হয়।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুচিত্র রঞ্জন দাস বলেন, নির্যাতনের অভিযোগ পেয়েছি। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে উভয়পক্ষকে আসার জন্য বলা হয়েছে। দুই পক্ষ থেকে শুনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।