রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোসহ ৭ দফা দাবিতে মানববন্ধন

0

কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের কারণে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিন দিন অবনতি হচ্ছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে বাড়ছে খুন, অপহরণ ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধ। তাদের এই অপরাধ সাম্রাজ্য ছড়িয়ে পড়ছে স্থানীয় অপরাধীদের মাঝেও।  

দীর্ঘ ৮ বছর পার হতে চললেও একজন রোহিঙ্গাকেও তাদের দেশে ফেরত পাঠানো যায়নি। উল্টো বিগত কয়েক মাসে মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে গৃহযুদ্ধের কারণে নতুন করে লাখেরও অধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে। এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফসহ পুরো জেলার মানুষের জীবনযাত্রা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়বে।   

এই রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ, তাদের দ্রুত স্বদেশে প্রত্যাবর্তনসহ ৭ দফা দাবি তুলেছে বাংলাদেশি নাগরিকদের একটি সংগঠন ‘অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি’। এই সংগঠনটি শুক্রবার এমন দাবিতে মানববন্ধন করেছে। বিকালে উখিয়া উপজেলার পালংখালী বাজার স্টেশনে এই মানববন্ধন হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উখিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি সরওয়ার জাহান চৌধুরী।

মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন, নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধে সীমান্তে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং নতুন করে আসা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে পুশব্যাক করাসহ সরকারের কাছে ৭ দফা দাবি জানিয়েছেন। এই মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রবিউল হোসাইন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার আজাদ।

অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, আশ্রিত রোহিঙ্গাদের দ্রুত মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধে সীমান্তে কঠোর নিরাপত্তা বলয় জোরদার, মিয়ানমারের রাখাইনে গৃহযুদ্ধের কারণে ২০২৪ সালে অনুপ্রবেশ করা লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে এফডিএমএন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করে (বায়োমেট্রিক) তাদের পুশব্যাকের জন্য কার্যকর কূটনৈতিক তৎপরতা চালানো, উখিয়া ও টেকনাফে স্থানীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরিসহ ক্যাম্প ব্যবস্থাপনায় স্থানীয়দের প্রাধান্য (ন্যূনতম ৫০ শতাংশ) নিশ্চিত করা, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাঁটাতারের বাইরে রোহিঙ্গাদের অবাধ বিচরণ বন্ধ, ক্যাম্পের বাইরে রোহিঙ্গাদের বাসাভাড়া বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চাকরির নিয়োগ কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে আরআরআরসি প্রশাসন, জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি মনিটরিং সেল গঠন করা।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here