রেকর্ড গড়ে ৫৩১ রানে থামল লঙ্কানদের ইনিংস

0

চট্টগ্রাম টেস্টেও স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে রানের পাহাড় গড়েছে সফরকারী শ্রীলঙ্কা। রানের পাহাড় গড়লেও দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে লঙ্কান ব্যাটারদের কেউ সেঞ্চুরির দেখা পাননি। 

তাদের হয়ে অর্ধশতক পূর্ণ করেছেন ছয়জন ব্যাটার। তাদের কল্যাণেই অলআউট হওয়ার আগে রেকর্ড গড়ে ৫৩১ রানে থামে লঙ্কানদের ইনিংস। আর এর মাধ্যমেই সেঞ্চুরিবিহীন এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ল শ্রীলঙ্কা।

দ্বিতীয় দিনের সকালে আকাশ ছিল বেশ মেঘলা। পুরো প্রথম সেশনেই ছিল মেঘের আনাগোনা। যদিও শেষ অবধি বৃষ্টি আসেনি। কিন্তু ম্যাচের ধরন থেকে গেছে একই। দিনের প্রথম ঘণ্টায় লঙ্কানদের কোনো উইকেট তুলে নিতে পারেনি বাংলাদেশ।  

প্রথম সাত ওভার পেসারদের দিয়ে করানোর পর সপ্তম ওভারে গিয়ে স্পিনার আনেন অধিনায়ক শান্ত। একপ্রান্তে স্পিন, আরেকদিকে পেসার; কিছুক্ষণ এমন চেষ্টার পর দুই দিক থেকেই স্পিনার নিয়ে আসেন তিনি। এ দফায় সফল হন।  

উইকেট এনে দেন সাকিব আল হাসান। অফ স্টাম্পের বাইরে ফুল লেংথে ঝুলিয়ে দেন সাকিব। সামনের পায়ে এসে ডিফেন্স করার চেষ্টা করেন চান্দিমাল। তার ব্যাট ছুয়ে বল চলে যায় উইকেটরক্ষক লিটন কুমার দাসের গ্লাভসে। ভেঙে যায় চান্দিমালের সঙ্গে ধনঞ্জয়ার ৮৯ রানের জুটি।  

এরপর উইকেটে আসেন কামিন্দু মেন্ডিস। তিনি ও ধনঞ্জয়া প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেছিলেন, গড়েছিলেন বড় জুটি। লাঞ্চ বিরতি অবধি ৭৬ বলে ৩৬ রানের জুটি হয়ে গেছে তাদের। ১০৮ বলে ৭০ রান করে ধনঞ্জয়া ও ৪১ বলে ১৭ রানে অপরাজিত কামিন্দু।  

দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই উইকেটের দেখা পেয়ে যায় বাংলাদেশ। লাঞ্চের পর প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন খালেদ আহমেদ। ৬ চার ও ২ ছক্কায় ১১১ বলে ৭০ রানে আউট হয়ে যান ধনঞ্জয়া।  

নিজের পরের ওভারেও উইকেট পেতে পারতেন খালেদ। কিন্তু এ দফায় ওই ক্যাচ মিসের কারণেই ভুগতে হয় বাংলাদেশকে। এবারের সুযোগ হাতছাড়া জন্ম দিয়েছে বেশ আলোচনারও। ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন।  

সেটি শুরুতে যায় প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো নাজমুল হোসেন শান্তর কাছে। তার হাত থেকে ছুটে দ্বিতীয় স্লিপে দাঁড়ানো শাহাদাৎ হোসেন দীপুর হাত থেকেও ছুটে যায়। পরে তৃতীয় স্লিপে দাঁড়ানো জাকির ঝাঁপিয়ে অল্পের জন্য বল হাতে পাননি।

এরপর উইকেট পাওয়ার জন্য লম্বা অপেক্ষাই ছিল বাংলাদেশের। মাঝে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে কামিন্দু মেন্ডিসের ক্যাচ নেন লিটন। কিন্তু আম্পায়ার আউট দিলেও রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান কামিন্দু। এর মধ্যে প্রবাথ জয়াসুরিয়ার ক্যাচ ছাড়েন লিটন।  

বাংলাদেশকে এই সেশনে দ্বিতীয় উইকেটটি এনে দেন সাকিব। তার বলে এলবিডব্লিউ হন দুই দফায় জীবন পাওয়া প্রবাথ জয়াসুরিয়া। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি তিনি। ৭৫ বল খেলে ২৮ রান করেন প্রবাথ। শেষ সেশনে  বাকি তিন উইকেট হারালেও ৫৫ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। 

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন সাকিব। এছাড়া হাসান মাহমুদ দুটি, খালেদ আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজের শিকার একটি করে উইকেট।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here