রুশ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সঙ্গে পেরে উঠছে না ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা

0

গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে ‘বিশেষ অভিযান’ শিরোনামে আক্রমণ শুরু করে রাশিয়া। তখন থেকে ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থাপনায় শত শত ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে পুতিন বাহিনী। ইউক্রেনের সেনাবাহিনী মস্কোর ছোড়া অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ধ্বংসের দাবি করেছে।

তবে রাশিয়ার ছোড়া হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সঙ্গে পেরে উঠছে না কিয়েভের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। বৃহস্পতিবার রাশিয়া ইউক্রেনে ৮১টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। এরমধ্যে ৬টি কিনজাল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রও ছিল। রাশিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ফাঁকি দিতে সক্ষম হয়েছে।

রাশিয়ার বৃহস্পতিবারের আক্রমণকে ক্রেমলিনের কৌশলগত, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক  লক্ষ্য হিসেবে দেখছেন আলেকজান্ডার রোদনিয়ানস্কি। এটাকে তিনি ‘অর্থনেতিক সন্ত্রাসবাদ’ বলেও অভিহিত করেন। জেলেনস্কির এই উপদেষ্টা বলেন, ইউক্রেনের সবাইকে রাশিয়া খুব শক্তিশালী সংকেত পাঠাচ্ছে। সম্ভবত ইউক্রেনের বাইরে আমাদের শরণার্থীদের মস্কো বলতে চাইছে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলো কিছুটা শান্ত থাকা সত্ত্বেও স্বাভাবিক জীবন এখানে অনেক দূরে। এটার ফলে ইউক্রেনের শরণার্থীরা দূরে থাকবে এবং দেশে ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করতে ভয় পাবেন।

রাশিয়ার কিনজাল ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর কমান্ডার ইউরি ইহনাত বৃহস্পতিবার টেলিভিশনে বলেন, ‘ প্রথমবারের মতো রাশিয়া নতুন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। কমপক্ষে ৬টি কিনজাল ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। পূর্বে এই ধরনের আক্রমণ দেখেননি জানিয়ে ইউক্রেনের এই কমান্ডার বলেন, এখন পর্যন্ত এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধের মতো সক্ষমতা আমাদের নেই।’

 সিএনএনের খবর অনুসারে, সকল ব্যালেস্টিক মিসাইলের মতো কিনজালও হাইপারসনিক টাইপের ক্ষেপণাস্ত্র। এর অর্থ – ‘এটা শব্দের থেকে অন্তত ৫ গুণ বেশি গতিতে ছুটতে সক্ষম। বিশেষভাবে এটা  শনাক্ত করাও কঠিন কারণ, যুদ্ধবিমান মিগ-৩১ থেকে এটা নিক্ষেপ করা যায়। একাধিক নির্দেশনা থেকে এটা দীর্ঘ দূরত্বে হামলা করতে পারে। ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ—এই দুই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রই পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম।’সূত্র: সিএনএন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here