আর্থিক প্রতারণার মামলায় এবার অভিনেতা মহেশবাবুকে তলব করল ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (ইডি)। আগামী ২৭ এপ্রিল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হতে বলা হয়েছে তাকে।
হায়দরাবাদের রিয়েল এস্টেট সংস্থা সাই সুরিয়া ডেভেলপারস এবং সুরানা গ্রুপের বিরুদ্ধে ওঠা প্রতারণার মামলাতেই ডাক পড়েছে অভিনেতার। ওই দুই সংস্থার কাছ থেকে সম্পত্তি কিনতে গিয়ে বহু মানুষ সর্বস্ব হারিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
দুই রিয়েল এস্টেট সংস্থার একাধিক নির্মাণ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তাদের হয়ে বিজ্ঞাপন করাতেই মামলায় নাম জড়িয়েছে মহেশবাবুর। তদন্তে উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী, সাই সুরিয়া ডেভেলপারস মহেশবাবুকে প্রায় ৬ কোটি টাকা দিয়েছিল। এর মধ্যে ব্যাংকের মাধ্যমে সাড়ে ৩ কোটি টাকা দেওয়া হয়, আর আড়াই কোটি টাকা দেওয়া হয় নগদে।
তদন্তকারীদের সন্দেহ, মহেশবাবুকে যে নগদ টাকা দেওয়া হয়েছিল, তা রিয়েল এস্টেট জালিয়াতি সংক্রান্ত অপরাধের অংশ।
তদন্তে নেমে গত ১৬ এপ্রিল হায়দরাবাদ, সেকেন্দ্রাবাদের চারটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। ২০০২ সালের আর্থিক তছরুপ আইনে এই মামলার তদন্ত চলছে।
তল্লাশি অভিযানে বহু নথিপত্র, লেনদেনের তথ্য, নগদ ১০০ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে ইডি। এর মধ্যে সুরানা গ্রুপের কাছ থেকেই ৭৫ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
তেলঙ্গানা পুলিশ ভাগ্যনগর প্রপার্টিজের ডিরেক্টর নরেন্দ্র সুরানা, সতীশচন্দ্র এবং অন্যদের বিরুদ্ধে প্রথম এফআইআর দায়ের করে। গ্রাহকদের থেকে টাকা তুলে নিলেও, সম্পত্তি হস্তান্তর করা হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
তদন্তে নেমে ইডি জানতে পারে, একই প্লট বারবার বিক্রি করা হয়। চুক্তি ছাড়া টাকা আদায় করা হয় ক্রেতাদের কাছ থেকে। জমি রেজিস্ট্রি নিয়েও একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
মহেশবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাকে দেখে বহু মানুষ সম্পত্তি কিনতে উৎসাহিত হয়ে পড়েন। আর তাতেই প্রতারণা, জালিয়াতির শিকার হতে হয় তাদের।
অভিনেতা সরাসরি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত না হলেও, নগদে যে টাকা নিয়েছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ইডি। যেখানে ১০০ কোটি টাকার লেনদেনে অনিয়ম চোখে পড়েছে।
ওই রিয়েল এস্টেট প্রজেক্টের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে যেহেতু প্রচারের মুখ ছিলেন মহেশবাবু, তাই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তদন্তকারীরা।