রিয়াদ-সৌম্যর ভূমিকা নিয়ে বলতে চান না লিটন

0

দুয়ারে কড়া নাড়ছে বিশ্বকাপ। আর মাত্র সপ্তাহ তিনেক বাকি। এমন সময় এই সিরিজ। একে বিশ্বকাপের ট্রায়াল সিরিজই বলা যায়। তবে দুই দলের কাছে এই সিরিজের আবেদন দুই রকম। যদিও বিশ্বকাপের জন্য সতর্ক থাকতে দুই দল তাদের সেরা ক্রিকেটারদের খেলাচ্ছে না।

বাংলাদেশ যে তাদের সেরা দলকে খেলাচ্ছে না তা তো সবারই জানা। নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নেই। নাজমুল হোসেন শান্তর ইনজুরি। মুশফিকুর রহিম নেই। দলের সেরা তিন পেসার তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ নেই। খেলবেন না অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। বলা যায়, বিশ্বকাপ দলে যারা থাকবেন তাদের সাত ক্রিকেটারই নেই।

২০২১ সালে সর্বশেষ জাতীয় দলের হয়ে খেলেছিলেন সৌম্য। ওই সময় তিনি ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন তিন নম্বরে। অভিষেকের পর ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি ৩৬ ম্যাচে ওপেনিংয়ে নেমেছেন সৌম্য, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬বার খেলেছেন তিনে। এছাড়া সাতে তিনবার ও একবার করে নেমেছেন পাঁচ ও ছয় নম্বরে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি কোথায় খেলবেন সেটি একটি বড় প্রশ্নই।  

তার মতো একই প্রশ্ন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে নিয়েও। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তার ফেরাটা অনেকটা অনুমিত ছিল। কিন্তু বিশ্বকাপের বিবেচনায় তাকে রাখা হয়েছে সাতে। যদিও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বছরের শুরুতে যখন খেলেছেন, তখন ছয়ে নেমেছেন রিয়াদ। ওই জায়গায় তাওহীদ হৃদয় এখন অনেকটাই প্রতিষ্ঠিত।

রিয়াদ অবশ্য সবচেয়ে বেশি ৭১ ম্যাচ খেলেছেন সাত নম্বরেই। ৩৪.৭২ গড়ে ১৫৯৭ রান করেছেন তিনি। এছাড়া ছয়ে খেলতে নেমে ৬৫ ইনিংসে ১৭১৭ রান তার। চারে ২০ ইনিংস খেলে বিশ্বকাপে সেঞ্চুরিও রয়েছে তার। সৌম্য ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের কী ভূমিকা হবে এই সিরিজে, এ নিয়ে জানতে চাওয়া হয় লিটনের কাছে।

জবাবে তিনি বলেন, ‘ভূমিকা নিয়ে আমি বলতে চাই না। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। যদি দ্রুত উইকেট পড়ে যায় রিয়াদ ভাই ব্যাটিংয়ে গেলে ৩০-৩৫ ওভারের খেলা থাকলে উনি উনার মতো খেলবে। এটা বলার দরকার নেই, উনি অনেক ম্যাচিউরড। একই কথা সৌম্যর ক্ষেত্রেও। যেখানেই সুযোগ পাবে তারা রান করার চেষ্টা করবে। শুধু তারা দু’জন না, প্রত্যেক ব্যাটারের দায়িত্ব রান করা।’ 

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here