ভারতের ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনে কেরালার ওয়েনাড লোকসভা কেন্দ্রের পাশাপাশি দ্বিতীয় কেন্দ্র হিসেবে রায়বেরিলি থেকেও প্রতিদ্বন্দিতা করছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। আর তা নিয়ে ওয়েনাডের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতা- সবার মধ্যেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
ইতিমধ্যে দ্বিতীয় দফায় গত ২৬ এপ্রিল ওয়েনাড কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছে। আগামী ২০ মে পঞ্চম দফায় রায়বেরেলি কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হবে। গণনা আগামী ৪ জুন।
স্থানীয় ওয়ানাডের রাস্তার পাশের দোকানের মানুষজন বলছেন ‘রাহুল বিরোধী দলের জোট ইন্ডিয়ার নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং তাই এতে কোনো ভুল নেই’।
অন্য একজন বলছেন ‘রাহুল গান্ধী যদি উভয় আসন থেকে জয়ী হন তবে সম্ভবত রায়বেরিলি আসনটি নিজের কাছে রাখবেন, ওয়েনাড আসনটি থেকে পদত্যাগ করবেন। আর যদি তিনি সেটা করেন, তাহলে সেটাই ওয়েনাডের মানুষের কাছে বড় আশাহতের কারণ হতে পারে। যদিও রাহুলের সিদ্ধান্তের উপর অপেক্ষা করতে চাইছে স্থানীয় মানুষ।
‘ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগ (IUML) নেতা পি কে কুনহালিকুট্টি গান্ধীর পদক্ষেপকে সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত বিরোধী জোটের জন্য আশাব্যঞ্জক হবে। কুনহালিকুট্টি এও জানিয়েছেন তার দল IUML রাহুল গান্ধীকে ওয়েনাডের পাশাপাশি অতিরিক্ত আরেকটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য শতাব্দী প্রাচীন দল কংগ্রেসের জাতীয় নেতৃত্বকে অনুরোধ করেছিল। তার অভিমত অতীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এই একই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।
তবে কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত উত্তর প্রদেশের আমেঠি ছেড়ে রায়বেরেলিকে বেছে নেওয়ার জন্য রাহুলকে নিশানা করতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।