বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও কুতুবদিয়া-মহেশখালী (কক্সবাজার-২) আসনের সাবেক এমপি এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলামী শ্রমনীতির বাস্তবায়ন করতে হবে। শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে তাদের গায়ের ঘাম শুকানোর আগেই তাদের পারিশ্রমিক বুঝিয়ে দিতে হবে। আমরা যে খাবার খাব শ্রমিকদেরও সেই খাবার খেতে দিব, একমাত্র ইসলামই সকলের জন্য ন্যায়বিচার ও ন্যায্য অধিকার কায়েম করতে পারবে।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ১০ টায় বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কুতুবদিয়া উপজেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শ্রমিক কল্যাণের বিদায়ী উপজেলা সভাপতি রবিউল হোসাইনের সভাপতিত্বে এতে ধূরুং আদর্শ স্কুল অ্যান্ড কলেজের হলরুমে আজ সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা শ্রমিক কল্যাণের সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম হাসান, জেলা শ্রমিক নেতা মুহাম্মদ শাহজাহান, কুতুবদিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর সাবেক চেয়ারম্যান আ.স.ম. শাহরিয়ার চৌধুরী, নবনির্বাচিত উপজেলা সভাপতি মাওঃ আব্দুর রহমান, নবমনোনীত সাধারণ সম্পাদক হেলাল হোসাইন প্রমুখ।
হামিদুর রহমান আযাদ আরো বলেন, ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়ন ছাড়া দুঃখী অনাহারী মানুষের ভাগ্যের বদল হবে না। তাই ইসলামী শ্রমনীতি কায়েম করতে হবে। এই নীতিতে শ্রমিক মালিক দ্বন্দ্ব নয়, শক্রতা নয়। তিনি আরও বলেন, যারা দ্বীন কায়েম করেছেন তাদের অধিকাংশই ছিলেন শ্রমজীবী মানুষ। শ্রমজীবী মানুষ যেদিকে যায়, সেদিকেই সফলতা আসে। শ্রমজীবী মানুষেরা খুবই সহজ-সরল। পৃথিবীর ইতিহাসে যেখানে পরিবর্তন এসেছে, সেখানে শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের ভূমিকা ছিল সবচেয়ে বেশি।
তিনি বলেন, ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষের গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা, ভোটাধিকার, মিছিল, সমাবেশসহ রাজনৈতিক অধিকার নষ্ট করেছেন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ। এ সময়ে দেশের হাজার হাজার নেতা-কর্মীর নামে গায়েবি মামলা দিয়ে জেলে আটকে রেখে তারা বাংলাদেশ থেকে ইসলামী আন্দোলনকে চিরতরে মুছে দিতে চেয়েছিলেন।
জাতীয় নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, শুধু একটি নির্বাচনের জন্য এবং ভোটের জন্য জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান হয় নাই। রাষ্ট্র পুনর্গঠন মেরামত এবং সংস্কারের মাধ্যমে গণআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। তাই আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ বিনির্মাণে রাষ্ট্র সংস্কার অনিবার্য হয়ে উঠেছে। সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনার আলোকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ আলোচনা শেষে, সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের একটি পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা জাতির সামনে উপস্থাপন করবে। সেটার অধিকাংশ বাস্তবায়নের পরে তারা নির্বাচনের পথে হাঁটবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।