ক্রেমলিন জানিয়েছে, সিরিয়ার সহিংসতা নিয়ে রাশিয়া অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে তারা ‘ঐক্যবদ্ধ’ করতে চায়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স ও ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
বার্তা সংস্থাটি বলছে, গত ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় সংখ্যালঘু আলাউইত সম্প্রদায়ের সঙ্গে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ চলছে। গত কয়েকদিনের অস্থিরতা দেশটির স্থিতিশীলতায় গুরুতর হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘সিরিয়ার ইস্যুতে আমরা অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি এবং প্রস্তুত আছি। মস্কো সিরিয়াকে ঐক্যবদ্ধ, সমৃদ্ধ ও বন্ধুত্বপূর্ণ দেখতে চায়।’
সিরিয়ায় ১৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে গৃহযুদ্ধ চলার পর বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হাতে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে রাশিয়া পালিয়ে যান বাশার আল-আসাদ। ক্ষমতায় থাকাকালে মস্কো ছিল তার প্রধান সামরিক ও রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষক।
আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় নিজেদের সামরিক ঘাঁটি টিকিয়ে রাখতে দেশটির নতুন প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা করছে রাশিয়া।
সিরিয়ার নতুন সরকার সোমবার আসাদের অনুগতদের বিরুদ্ধে অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করেছে। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, সহিংসতায় এক হাজার ৬৮ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই আলাউইত সম্প্রদায়ের সদস্য। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী অথবা তার মিত্র গোষ্ঠীগুলো তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে।
সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে অকার্যকর করে পুরো দেশে সরকারি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন।
আহমেদ আল-শারা সোমবার কুর্দি-অধ্যুষিত সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) প্রধানের সঙ্গে উত্তর-পূর্বে স্বায়ত্তশাসিত কুর্দি প্রশাসনের প্রতিষ্ঠানগুলোকে জাতীয় সরকারের সঙ্গে একীভূত করতে একটি চুক্তিও ঘোষণা করেছেন। সূত্র: রয়টার্স