অভিনেতা রাজকুমার রাওয়ের বিপরীতে ‘সিটিলাইটস’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে যাত্রা শুরু করেন পত্রলেখা। বলিউডে নিজের অবস্থান তৈরি করলেও, আজও তাঁকে অনেকেই ‘রাজকুমারের স্ত্রী’ পরিচয়ে চেনেন। আর এই বিষয়টিই তাঁর কাছে বেদনাদায়ক।
সম্প্রতি গালাট্টা ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পত্রলেখা বলেন, ‘‘শুধু রাজকুমার রাওয়ের স্ত্রী হিসেবে পরিচিতি পেতে আমি ঘৃণা বোধ করি। এটা আমাকে খুবই ছোট করে দেয়। কারণ, আমার নিজস্ব নাম আছে, নিজস্ব অস্তিত্ব আছে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘আপনারা ভাবেন, আমার জীবন সহজ কারণ আমার স্বামী বিখ্যাত। কিন্তু এটা মোটেও সহজ নয়।’’
পত্রলেখার ভাষায়, ‘‘যদি কেউ নিজেকে একজন ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান এবং নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চান, তবে এই পরিচয়ের ছায়া থেকে বের হওয়া খুব কঠিন। আমি মিডিয়াকে অনুরোধ করব, এমন পরিচয়ে আমাকে তুলে ধরবেন না। এই পরিচয় অর্জন করতে আমাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। শুধুই রাজকুমারের স্ত্রী হয়ে থাকতে আমি রাজি নই। আর যতদিন বাঁচব, এই ভাবনার বিরুদ্ধে লড়াই করে যাব।’’
তিনি জানান, অনেক সময় লোকজন তাঁর হাতে চিত্রনাট্য তুলে দিলেও তাঁদের উদ্দেশ্য থাকে রাজকুমার রাওকে কাস্ট করা। পত্রলেখার মতে, এটা তাঁর প্রতি অবিচার।
রাজকুমার ও পত্রলেখার প্রেম শুরু হয়েছিল ২০১০ সালে। দীর্ঘ ১১ বছরের সম্পর্কের পর ২০২১ সালে তাঁরা ঘরোয়া অনুষ্ঠানে বিয়ে করেন।
সম্প্রতি পত্রলেখাকে দেখা গেছে ‘ফুলে’ ছবিতে, যা পরিচালনা করেছেন অনন্ত মহাদেবন। প্রযোজনা করেছে ডান্সিং শিবা ফিল্মস, কিংসমেন প্রোডাকশনস এবং জি স্টুডিওস। ছবিটি জ্যোতিরাও ফুলে ও সাবিত্রীবাই ফুলের জীবনের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত। এতে আরও অভিনয় করেছেন প্রতীক গান্ধী, বিনয় পাঠক ও সুশীল পান্ডে।
অন্যদিকে, রাজকুমারকে শিগগিরই দেখা যাবে ‘ভুল চুক মাফ’ ছবিতে, যা পরিচালনা করেছেন করণ শর্মা। এই সায়েন্স ফিকশন রোমান্টিক কমেডিতে আরও অভিনয় করেছেন সীমা পাহওয়া ও ওয়ামিকা গাব্বি। ছবিটি ৯ মে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কথা থাকলেও, ভারত–পাকিস্তান উত্তেজনার কারণে এখন এটি সরাসরি ওটিটিতে মুক্তি পাচ্ছে।