সকাল থেকে বৃষ্টি। এর পরও থেমে নেই ভোটগ্রহণ। বুধবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় রাঙামাটি সদর, কাউখালী, বরকল জুরাছড়ি উপজেলায় ভোট গ্রহণ। প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, পোলিং এজেন্টেদের উপস্থিতিতে উপজেলার ৯২টি কেন্দ্রে উৎসবে পরিণত হয় ভোটগ্রহণ। কিন্তু বৃষ্টি ম্লান করে দিয়েছে ভোটার উপস্থিতি। একেবারেই ছিল না কোন লাইন। বিচ্ছিন্নভাবে কিছু কেন্দ্রে ভোট দিতে দেখা যায় ভোটারদের। তারও আবার পুরুষ ভোটার। নারীদের সংখ্যা ছিল একেবারেই কম।
তার মধ্যে শুরু হয় আতংক। রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার ফপিকছড়ি ইউনিয়নের বর্মাছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যাল কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ নেতা মো. সামশুদ্দোহা চৌধুরী (আনারস) প্রতিদ্বন্দ্বী আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন ইউপিডিএফের সমর্থীত প্রার্থী মংসুইউ চৌধুরী (ঘোড়া) মধ্যে উত্তেজনা দেখা যায়। কয়েক রাউন্ড গুলি করে আতংক সৃষ্টি করতে চায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। তবে পুলিশ বিজিবি, র্যাব ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসলে আবারও শুরু হয় ভোটগ্রহণ কার্যক্রম।
জানা গেছে, রাঙামাটির চার উপজেলা মিলে মোট ভোটার রয়েছে ২ লাখ ১১হাজার ৬জন। তার মধ্যে মহিলা ভোটার সংখ্যা ১০হাজার ৪৪০ ও পুরুষ ভোটার রয়েছে ১১হাজার ৫৬৫জন। চার উপজেলায় ১২ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ মহিলা ও পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ১৯জন।