পটুয়াখালীর গলাচিপায় পবিত্র মাহে রমজানে ব্যস্ততা বেড়েছে মুড়িপল্লীতে। মঙ্গলবার গলাচিপা পৌর শহরের সাহা বাড়িতে মুড়ি তৈরির জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে আগত মানুষদের। তাই এ সময় দম ফেলার ফুসরত পাচ্ছেন না মুড়ি ভাজার সঙ্গে জড়িত নারীরা। ইফতারের প্লেটে অন্যতম এক অনুসঙ্গ মুড়ি। তাই পবিত্র রমজান এলেই হাতে ভাজা মুড়ির চাহিদা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। উপজেলার বিভিন্ন মুড়ির দোকানেও এর চাহিদা থাকে অনেক। তাই মুড়ি ভাজা কিংবা ক্রয়ের জন্য ক্রেতারাও ভিড় করেন সাহা বাড়িতে। সাহা বাড়ির মত বিভিন্ন গ্রামেও এ সময় মুড়ি ভাজা হয়। তবে উৎপাদন খরচ আর পরিশ্রমের তুলনায় এখন আর তেমন লাভ হয় না বলে দাবি করছেন এই ব্যবসার সাথে জড়িত ব্যক্তিরা।
গলাচিপা পৌরসভার সাহা বাড়ির মালতী রানী সাহা, সুকলা রানী সাহা, শ্যামলী রানী সাহা, কুন্তি রানী সাহা বলেন, প্রতি কেজি চাল মুড়ি ভাজার জন্য ৩৫ টাকা করে নিচ্ছি। রমজানে মুড়ির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিন গড়ে এক থেকে দেড় মণ চালের মুড়ি ভাজতে পারি। তবে রমজান ছাড়া তেমন মুড়ি ভাজা হয় না। তখন ১৫০ থেকে ২০০ টাকা উপার্জন হয়। এই আয় দিয়ে আমাদের পোষাচ্ছে না। খরচ আর পরিশ্রমের তুলনায় তেমন লাভ হচ্ছে না।
একই বাড়ির পলাশ সাহা, বিমল সাহা, কৃষ্ণ সাহা বলেন, প্রতি বছর রমজান এলে আমরা ব্যস্ত থাকি মুড়ি ভাজায়। আমাদের হাতে ভাজা মুড়িতে কোনো ভেজাল নেই।