রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাদল ‘ওয়াগনার’ প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন জানিয়েছেন, ইউক্রেনের বাখমুতে তার বাহিনীর অবস্থান তিনি চেচেন নেতা রমজান কাদিরভের হাতে হস্তান্তর করবেন।
এর আগে গত শুক্রবার ইয়েভজেনি প্রিগোজিন বাখমুত থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। আগামী বুধবারের মধ্যে বাখমুত থেকে তিনি তার বাহিনীর সব সেনা প্রত্যাহার করবেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম তাসের খবরে বলা হয়েছে, কাদিরভের বাহিনী (রাশিয়ায় আখমত বাহিনী হিসেবে পরিচিত) বাখমুতে লড়াই করতে প্রস্তুত। কাদিরভ নিজেই এই কথা জানিয়েছেন। এই চেচেন নেতা বলেন, ‘আমাদের কমান্ডো বাহিনী বাখমুতে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত।’ এ নিয়ে ইতোমধ্যে তিনি রাশিয়ার সর্বোচ্চ নেতা পুতিনের বার্তায় স্বাক্ষর করেছেন। তার বাহিনী বাখমুত থেকে ন্যাটো এবং ইউক্রেনীয় শয়তানদের হঠাতে প্রস্তুত। কয়েকটি ইউনিট ইতোমধ্যে বাখমুতের পথে রয়েছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, গোলা সরবরাহ নিয়ে রুশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে ওয়াগনার প্রধান বাখমুত থেকে সেনা প্রত্যাহারের হুমকি দিয়েছেন।
ওয়াগনার রাশিয়ায় একটি বেসরকারি সামরিক সংস্থা। তারা ভাড়ায় যোদ্ধা সরবরাহ করে। এই গ্রুপের সেনারা ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে বাখমুত শহর ঘিরে ব্যাপক লড়াই করছে।
গত সপ্তাহে ইয়েভজেনি প্রিগোজিন রাশিয়ার সামরিক কর্মকাণ্ড–সংক্রান্ত ব্লগার সেমিয়ন পেগভকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ না থাকায় বাখমুতে তার বাহিনীর পাঁচ গুণ বেশি সেনা নিহত হচ্ছে।
ওই সাক্ষাৎকারে প্রিগোজিন বলেন, প্রতিদিনই আমরা হাজারো মরদেহ কফিনে ভরছি আর বাড়ি পাঠাচ্ছি। গোলাবারুদের এ ঘাটতি পূরণ হলে আমরা ইঁদুরের মতো আতঙ্কিত হয়ে ছুটোছুটি করব না। হয় আমরা সেনা প্রত্যাহার করব, নয়তো মারা যাব। বাখমুত থেকে কিছুসংখ্যক যোদ্ধা সরিয়ে নেওয়ার ইঙ্গিত দেন প্রিগোজিন। তবে বাখমুত থেকে সেনা সরালে ইউক্রেনের অন্যান্য জায়গায় রুশ সেনাদের অবস্থান নাজুক হয়ে পড়বে বলেও সতর্ক করেন তিনি।