হৃদরোগ প্রতিরোধে জীবনযাত্রার পরিবর্তন যেমন জরুরি, তেমনি খাদ্যাভ্যাসও এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশুদ্ধ ও পুষ্টিকর খাবার হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে যেসব খাবার নিয়মিত খাওয়া উচিত, সেগুলো হলো-
মাছ
স্যামন, ম্যাকারেল, সার্ডিনের মতো মাছে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা রক্তনালির সুস্থতা বজায় রাখে। হালকা রান্না করা বা ভাপা মাছ খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে। ডিমও প্রোটিনের ভালো উৎস, তবে ডিমের কুসুম সীমিত পরিমাণে খাওয়া ভালো।
শাক-সবজি
পালং, ব্রকলি, ফুলকপি, টমেটো, গাজর ও অন্যান্য শাক-সবজি ভিটামিন, খনিজ ও ফাইবারে সমৃদ্ধ। এগুলো রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
ফলমূল
আপেল, কমলা, বেরি জাতীয় ফল হৃদরোগ প্রতিরোধে কার্যকর। ফলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তনালীর ক্ষতি রোধ করে এবং শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
ডাল ও বাদাম
ছোলা, মুসুর ডাল, কাশু, আখরোট ও বাদামে স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং প্রোটিন থাকে। এগুলো রক্তে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
শস্য
ওটস, ব্রাউন রাইস, হোল হুইট ব্রেডের মতো পুরো শস্যে ফাইবার থাকে। এটি রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে এবং হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখে।
স্বাস্থ্যকর তেল
অলিভ অয়েল, বাদামের তেল বা সরিষার তেল ব্যবহার করলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। তেলের ভেতরে থাকা মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী।

