যাত্রী সেজে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ভাড়া করার পর চালকের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক খাইয়ে অচেতন করে যানবাহনটি ছিনিয়ে নিয়ে যেত। কাজ করতো দলে দলে ভাগ হয়ে।
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থেকে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানতে পেরেছে পুলিশ। আজ আদালতে প্রেরণ করা হলে এদের মধ্যে তিনজন ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে অপরাধের দায় স্বীকার করেছেন।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পার্শ্ববর্তী ধোবাউড়া উপজেলার এরশাদ বাজার শিমূলতলী এলাকা থেকে গত ২ আগস্ট অচেতন অবস্থায় মাহাদী হাসান বাপ্পী (২২) নামের এক তরুণকে উদ্ধার করে পথচারীরা। পরে তাকে হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরে মাহাদি। জুস জাতীয় কোমল পানি পানের মাধ্যমে অজ্ঞান করে অটো ছিনতাইয়ের বিষয়টি পরিবারসহ শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে জানায়। পাশাপাশি বিভিন্ন মাধ্যমে অটো রিকশা চেষ্টা উদ্ধারের চেষ্টা চালান ওই ভুক্তভোগী। অপরদিকে গ্রেফতারকৃতরা ভুক্তভোগীর অটোরিকশা বিক্রয়ের পর নতুন করে মাঠে নামে আরো একটি অটো ছিনতাইয়ের। একই কায়দায় ৫ আগস্ট একটি নির্দিষ্ট স্থানে যাওয়ার জন্য হালুয়াঘাট বাসট্যান্ড এলাকা থেকে অপর একজনের অটো ভাড়া করেন ছিনতাইকারীরা। অটোরিকশা ছিনতাই হওয়া ভুক্তভোগীর দেয়া তথ্যমতে ছিনতাইকারীদের বেশভূষা দেখে চিনে ফেলে শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। তাদেরকে আটকের বিষয়ে স্থানীয়রা ভুক্তভোগীকে খবর দিলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ওই চক্রের তিন সদস্যকে চিহ্নিত করা হয়।
পরে থানা পুলিশ খবর পেয়ে চিহ্নিত তিন সদস্যকে থানা হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেয়া তথ্যমতে গাজীপুর এলাকা আরো একজনকে আটক করা হয়। অটো ছিনতাইয়ের ঘটনায় ভুক্তভোগী মাহাদি চোরচক্রের ৬ সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা তদন্তে করতে গিয়ে ছিনতাইকারী চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে হালুয়াঘাট থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেন হালুয়াঘাট থানায় কর্মরত উপ-পুলিশ পরিদর্শক জাহিদুল হাসান
বিষয়টি নিশ্চিত করে হালুয়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন চন্দ্র রায় জানান, আইনগত ব্যবস্থা শেষে আজ গ্রেফতার ৪ জনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে যাত্রী সেজে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করে। থানা পুলিশের পক্ষ থেকে বাকিদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।