যখন মুম্বাই ছিলাম তখনই চিঠিটা পাঠানো হয়েছিল : জায়েদ খান

0

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে কম ঘোলা হয়নি জল। পদটি নিয়ে নিপুণ আর জায়েদ খানের মধ্যে কোর্ট-কাচারিও হয়েছে। এদিকে, অভিনেতা রুবেল ও অভিনেত্রী সুচরিতার সদস্যপদ স্থগিত করেছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। এবার খবর রটেছে চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্যের অভিযোগে জায়েদ খানের সদস্য পদও স্থগিত হতে পারে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এরকম শিরোনামে বেশ কিছু খবরও প্রকাশিত হচ্ছে গতকাল থেকে। 

অন্যদিকে, আগামীকাল রবিবার সমিতির জরুরী সভা ডেকেছে শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটি। এটাও শোনা যাচ্ছে, মিটিংয়ের মূল আলোচনার বিষয় জায়েদ খান। এই জরুরি সভা থেকে আসতে পারে জায়েদ খানের সদস্য পদ স্থগিতের সিদ্ধান্ত। যদিও এ নিয়ে আগাম কোন মন্তব্য করছেন না সমিতির কোন সদস্য। 

চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কারণ দর্শানোর চিঠিতে বলা হয়েছে, গঠনতন্ত্রের ৭ এর ‘ক’ ধারা মোতাবেক আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ধারাটি এমন যে সংগঠনের উদ্দেশ্য পরিপন্থী ও বিরোধী কার্যক্রম করলে সদস্যপদ স্থগিত করা হবে। কিন্তু এটা পুরোপুরি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদটি নিয়ে মামলা এখনো বিচারাধীন। হাইকোর্ট আমাকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রায় দিয়েছে। এর বিরুদ্ধে নিপুণ আপিল করেছে, যে আপিলটি গ্রহণ করে শুনানির জন্য রাখা হয়েছে। সেই বিচারাধীন পদ নিয়ে নিজেকে কিভাবে সাধারণ সম্পাদক দাবি করে তিনি আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।’

জায়েদ খান দাবি করেন, ‘জোর করে সাধারণ সম্পদকের দায়িত্ব নেওয়া নিপুণের গঠনমূলক সমালোচনা করেছি বলেই তিনি আমার সমদ্যপদ বাতিলের পায়তারা করছে।’ 

এদিকে, গেল ২০২১-২০২৩ মেয়াদী চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সুচরিতা কার্যনিবাহী সদস্য আর রুবেল সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে কার্যনিবাহী কমিটির পরপর ৩ মিটিংয়ে অংশ গ্রহণ করেননি এমনকি সমিতির উন্নয়নমূলক কোনো কাজে দেখা যায়নি বলে তাদের তাদের সদস্যপদ স্থগিত করে শিল্পী সমিতি। এ বিষয়টি নিয়েও বললেন জায়েদ খান। তিনি দাবি করেন, ‘রুবেল ও সুচরিতার সঙ্গেও অন্যায় হয়েছে। আদালত যখন সাধারণ সম্পাদক পদে স্থিতাবস্থার রায় দিয়েছেন, তখন তারা কেউই সমিতির মিটিংয়ে যাননি। তখন তাদের কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু ইলিয়াস কাঞ্চন সাহেবতো সমিতির সভাপতি হিসেবে তাদের চিঠি দিতে পারেন না। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চিঠি দিতে পারেন সাধারণ সম্পাদক অথবা সহ-সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু তা হয়নি, এ বিষয়ে সুচরিতা ম্যাডাম ও রুবেল সাহেব ব্যাখ্যা চাইলেও জবাব মেলেনি। উল্টো তাদের সদস্যপদ স্থগিত করে দেওয়া হয়।’

এদিকে, শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগামীকাল সভায় কি হবে তা আমি বলতে পারছি না। তাছাড়া জায়েদ খান ইস্যুতেও কোনো কথা বলতে চাই না।’

জায়েদ খান অভিযোগ করেছেন সাংগঠনিক কাজে ইলিয়াস কাঞ্চন সমিতির সভাপতি হিসেবে রুবেল ও সুচরিতাকে চিঠি দিতে পারেন না। সাধারণ সম্পাদক না থাকলে প্রয়োজনে এজিএস চিঠি দেবেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইলিয়াস কাঞ্চন আরও বলেন, ‘সভাপতি হিসেবে আমি কি তাদের চিঠি দিতে পারি না। কোন গঠনতন্ত্রে আছে চিঠি দেওয়া যাবে না। জায়েদ খান কেন এ কথা বলেছেন তা তাকেই জিজ্ঞেস করুন। এ বিষয়ে আর বেশি কিছু বলতে চাইছি না।’

তবে জায়েদ খানের এসব অভিযোগ নিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তারের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here