আইপিএলে এক ম্যাচ পর ফি্রেই আবার সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকার চূড়ায় উঠেছেন মুস্তাফিজুর রহমান, ফিরে পেয়েছেন ‘বেগুনি ক্যাপ’। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে শেষ ওভারে দারুণ বোলিংয়ে ২ উইকেট তুলে নেন এই পেসার। নাইট রাইডার্স থামে ১৩৭ নামে। চেন্নাই সুপার কিংস ৭ উইকেটে সেই ম্যাচ জিতেও নিয়েছে।
মোট ৯ উইকেট নিয়ে আবার সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী মুস্তাফিজ। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে এদিন ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন তিনি। মোস্তাফিজের দ্যুতি ছড়ানো ম্যাচে জয় পেয়েছে চেন্নাইও। আগে ব্যাটিং করতে নেমে কলকাতা মাত্র ১৩৭ রান জমা করতে পারে। জবাবে চেন্নাইয়ের অধিনায়ক রিতুরাজ গায়কোয়াড়ের অপরাজিত ফিফটিতে ৭ উইকেটে জয় তুলে নেয়। এ জয়ে ঘরের মাঠে টানা তিন ম্যাচ জিতল চেন্নাই। সব মিলিয়ে পাঁচ ম্যাচে তাদের তৃতীয় জয়।
এরপর পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে বোলিংয়ে ফিরে প্রথম বলে ওই রাঘুবানশি চার হাঁকান পয়েন্ট দিয়ে। এরপর আবার নিয়ন্ত্রিত মোস্তাফিজের বল। পাওয়ার প্লে’তে ২ ওভারে ১২ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি।
১৮তম ওভারে বাংলাদেশি তারকা পেসার যখন বোলিংয়ে ফেরেন তখন কলকাতার রান ৬ উইকেটে ১১৩। ওই সময়ে ক্রিজে ছিলেন ক্যারিবিয়ান হার্ডহিটার আন্দ্রে রাসেল। কিন্তু তাকেও আটকে রাখেন তিনি। প্রথম দুই বল ডট। এরপর নো বলে চার হজম করলেও ফ্রি হিটে কোনো রান দেননি। চতুর্থ বলও ডট। পঞ্চম বলে উইকেট পেতে পারতেন। কিন্তু উইকেটের পেছনে বল গ্লাভসে জমাতে পারেননি মাহেন্দ্র সিং ধোনি। ডেথ ওভারে প্রথম পরীক্ষায় পাশ করা মোস্তাফিজ খরচ করেন ৯ রান।
শেষ ওভারে প্রথম বলেই কলকাতার অধিনায়ক ও সর্বোচ্চ স্কোরার শ্রেয়াস আইয়ারকে (৩৪) ফিরিয়ে দেন মোস্তাফিজ। পরের দুই বল ডটের পর চতুর্থ বলে মিচেল স্টার্ক আউট। মোস্তাফিজ এই উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হয়ে যান। পঞ্চম বলে আসে এক রান। শেষ বলে বাই থেকে আরো এক রান।
অসাধারণ বোলিংয়ে মোস্তাফিজ দলের লক্ষ্যকে নাগালের বাইরে যেতে দেননি। যা ব্যাটসম্যানরা অনায়েসে ছুঁয়ে ফেলে। গায়কোয়াড় ৫৮ বলে ৬৭ রান করেন ৯ চারে। এছাড়া ডার্ল মিচেল ২৫ এবং শিভাম দুবের ব্যাট থেকে আসে ২৮ রান। ৪ ম্যাচে মোস্তাফিজ ১২৮ রানে ৯ উইকেট পেয়েছেন। যেখানে তার ইকোনমি ৮.০০, স্ট্রাইক রেট ১০.৬৬।