বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা-মোংলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির নেতৃত্বের কোন্দলে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা সড়কে প্রতিদিন ৩৫-৪০টি লোকাল বাস চলাচল করতো। এখন তা কমে তিনটিতে পৌঁছেছে। ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব খাটিয়ে নির্বাচন বহির্ভূত কমিটি ঘোষণা ও নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নেওয়ার কারণে এ সড়কে এমন সংকটের সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
ফলে বাগেরহাট, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা, রায়েন্দা, তাফালবাড়িয়া সড়কে প্রত্যেকদিন যাতায়াতকারী শতশত শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাধারণ যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। নিরুপায় হয়ে যাত্রীরা এখন অটোভ্যান ও ইজিবাইকে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। মালিকদের এমন বিভক্তি সমিতিতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। চলতি বছরের মে মাসে একটি কমিটি ঘোষণা দেওয়া হয় নির্বাচন ছাড়াই। এর পর থেকে সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধের উপক্রম হয়েছে। প্রতিদিন এ সড়কে ৩৫ থেকে ৪০টি গাড়ি চলাচল করতো। এখন চলে মাত্র দুটি বা তিনটি। কোনো কোনো দিন একদম বন্ধ থাকে।
এসব কারণে সম্প্রতি খুলনা বিভাগীয় শ্রম আদালতে মামলা দায়ের করেছেন বাস মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনার রশীদ। বাদী ওই মামলায় কমিটির নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ও কার্যক্রম স্থগিতকরণের দাবি করেছেন।
আদালত সমিতির নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে কেন অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে ৭ দিনের সময় দিয়ে গত ১৭ আগস্ট সমিতির সভাপতি শামীম আহসান পলাশ ও সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন মুক্তাকে নোটিশ পাঠিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সমিতির সভাপতি শামীম আহসান পলাশ বলেন, সকল বিধিবিধান মেনেই মালিক সমিতির কমিটি গঠন করা হয়েছে। একটি পক্ষ মামলা করেছেন। আমরা তার জবাব দেব। এখানে অনিয়মের কিছু হয়নি।