ভারতের লোকসভা নির্বাচনের একটি করে দফা শেষ হচ্ছে, আর নির্বাচনি প্রচারণায় ঝাঁজ বাড়াচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। একদিকে বিজেপির নিশানায় কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিআইএম সহ বিরোধী দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’র শরিক দলগুলি, অন্যদিকে বিরোধীদের নিশানায় বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি নিশানায় সরগরম নির্বাচনের ময়দান।
রবিবার পশ্চিমবঙ্গের চারটি নির্বাচনি প্রচারণায় উপস্থিত ছিলেন মোদি। প্রথম দুটি সভা ব্যারাকপুর ও হুগলি থেকে রাজ্যের দুর্নীতি, তোষণনীতি, সংরক্ষণ, অনুন্নয়ন ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসকে তোপ দাগেন মোদি।
মোদির অভিমত ‘আজ তৃণমূল একে দুর্নীতির আখড়া বানিয়েছে। একটা সময় ছিল যখন এই বাংলায় একের পর এক বৈজ্ঞানিক উঠে এসেছিল কিন্তু তৃণমূলের শাসনে প্রতিটি জায়গায় বোমা বানানোর কারখানা চলছে। একটা সময় ছিল যখন অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করত কিন্তু আজ তৃণমূলের শাসনে এ রাজ্যে অনুপ্রবেশকারীদের ফুল ফুটেছে।’
ব্যারাকপুরের পরে হুগলির নির্বাচনি সভা থেকে নাম না করে ৫৩ বছর বয়সী রাহুল গান্ধীকে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। শাহজাদা বলে উল্লেখ করে মোদী বলেন ‘শাহজাদার যা বয়স আছে, চলমান নির্বাচনে তার থেকে কিছু আর বেশি আসনে জিততে পারে কংগ্রেস।’
সংরক্ষণ ইস্যুতে মমতা বলেন, ‘মোদি বলেছেন আমরা নাকি দলিত, আদিবাসী, অন্য অনগ্রসর শ্রেণির মানুষের সংরক্ষণের কোটা থেকে সংখ্যালঘুদের সংরক্ষণ দিয়ে দেব। আমি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় দাঁড়িয়ে বলছি, আপনার বুকের পাটা থাকলে আপনি একথা সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় দাঁড়িয়ে বলতে পারবেন না। তার কারণ আমি এতটাই পরিষ্কার।’
একসময় প্রবল নিশানা করে মমতাকে এও বলতে শোনা যায় ‘আপনার গ্যারান্টি আমি ফুৎকার দিয়ে উড়িয়ে দিলাম। আপনি সিএএ করলে মতুয়াদের নিঃশর্ত অধিকার দিতে হবে। তা না হলে আপনাকে বাংলায় ঢুকতে দেব না, মাথা রাখবেন।’
কিন্তু মমতার ওই বক্তব্যের পরে নিজের ভুল বুঝতে পেরে তিনি তা প্রত্যাহারও করেন। পরে মমতা বলেন ‘সরি! বাংলায় আসতে দেব না, আমি এ কথা বলছি না। আমি এটা উইথড্র করছি। কিন্তু আমার মনে এতটা জ্বালা হয়েছে তাই বলতে বাধ্য হলাম।’
মমতার দাবি, ‘মোদি এবার চলে যাচ্ছেন। এবার তিনি বিদায় নিচ্ছেন। নিজের প্রচারের ঘণ্টা বাজাতে বাজাতে বিজেপি সরকারেরই মৃত্যু ঘণ্টা বেজে গেছে। যে তিনটে দফায় ভোট হয়েছে তাতে প্রথমটায় এপাশ, পরেরটায় ওপাশ, তৃতীয়টায় ধপাস।’
দীপক দেবনাথ, কলকাতা
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের একটি করে দফা শেষ হচ্ছে, ততই নির্বাচনি প্রচারণায় ঝাঁজ বাড়াচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলি। একদিকে বিজেপির নিশানায় কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিআইএম সহ বিরোধী দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’র শরিক দলগুলি, অন্যদিকে বিরোধীদের নিশানায় বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি নিশানায় সরগরম নির্বাচনের ময়দান।
রবিবার পশ্চিমবঙ্গের চারটি নির্বাচনি প্রচারণায় উপস্থিত ছিলেন মোদি। প্রথম দুটি সভা ব্যারাকপুর ও হুগলি থেকে রাজ্যের দুর্নীতি, তোষণনীতি, সংরক্ষণ, অনুন্নয়ন ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসকে তোপ দাগেন মোদি।
অনুন্নয়ন ইস্যুতে মোদী বলেন, ‘পূর্ব ভারত নিয়ে মোদির যে মিশন তাতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর্যন্ত কংগ্রেসের শাসনকালে পূর্ব ভারত কেবল দারিদ্রতাই পেয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, উড়িষ্যা বা অন্ধ্রপ্রদেশ হোক, এত বড় বড় রাজ্যে এত খনিজ সম্পদ আছে, কয়লার ভাণ্ডার আছে, কিছু রাজ্যে ব্লু ইকোনোমি আছে, কিছু রাজ্যে পর্যটনের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। এরপরেও কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়া জোটের শরিক দল গুলো পূর্ব ভারতকে পিছনে রেখে দিয়েছে।’
মোদির অভিমত ‘আজ তৃণমূল একে দুর্নীতির আখড়া বানিয়েছে। একটা সময় ছিল যখন এই বাংলায় একের পর এক বৈজ্ঞানিক উঠে এসেছিল কিন্তু তৃণমূলের শাসনে প্রতিটি জায়গায় বোমা বানানোর কারখানা চলছে। একটা সময় ছিল যখন অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করত কিন্তু আজ তৃণমূলের শাসনে এ রাজ্যে অনুপ্রবেশকারীদের ফুল ফুটেছে।’
ব্যারাকপুরের পরে হুগলির নির্বাচনি সভা থেকে নাম না করে ৫৩ বছর বয়সী রাহুল গান্ধীকে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। শাহজাদা বলে উল্লেখ করে মোদী বলেন ‘শাহজাদার যা বয়স আছে, চলমান নির্বাচনে তার থেকে কিছু আর বেশি আসনে জিততে পারে কংগ্রেস।’
সংরক্ষণ ইস্যুতে মমতা বলেন, ‘মোদি বলেছেন আমরা নাকি দলিত, আদিবাসী, অন্য অনগ্রসর শ্রেণির মানুষের সংরক্ষণের কোটা থেকে সংখ্যালঘুদের সংরক্ষণ দিয়ে দেব। আমি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় দাঁড়িয়ে বলছি, আপনার বুকের পাটা থাকলে আপনি একথা সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় দাঁড়িয়ে বলতে পারবেন না। তার কারণ আমি এতটাই পরিষ্কার।’
একসময় প্রবল নিশানা করে মমতাকে এও বলতে শোনা যায় ‘আপনার গ্যারান্টি আমি ফুৎকার দিয়ে উড়িয়ে দিলাম। আপনি সিএএ করলে মতুয়াদের নিঃশর্ত অধিকার দিতে হবে। তা না হলে আপনাকে বাংলায় ঢুকতে দেব না, মাথা রাখবেন।’
কিন্তু মমতার ওই বক্তব্যের পরে নিজের ভুল বুঝতে পেরে তিনি তা প্রত্যাহারও করেন। পরে মমতা বলেন ‘সরি! বাংলায় আসতে দেব না, আমি এ কথা বলছি না। আমি এটা উইথড্র করছি। কিন্তু আমার মনে এতটা জ্বালা হয়েছে তাই বলতে বাধ্য হলাম।’
মমতার দাবি, ‘মোদি এবার চলে যাচ্ছেন। এবার তিনি বিদায় নিচ্ছেন। নিজের প্রচারের ঘণ্টা বাজাতে বাজাতে বিজেপি সরকারেরই মৃত্যু ঘণ্টা বেজে গেছে। যে তিনটে দফায় ভোট হয়েছে তাতে প্রথমটায় এপাশ, পরেরটায় ওপাশ, তৃতীয়টায় ধপাস।’