নোয়াখালীর চাটখিলে চা খেয়ে ফেরার পথে বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কায় গুরুতর আহত তিন কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাতে উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়।
বুধবার সকালে ঢাকার পৃথক দুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জয় ও রায়হান নামে দুই কিশোরের মৃত্যু হয়।
এর আগে, সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে তানিম নামে আরেক কিশোরের মৃত্যু হয়।
গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার চাটখিল পৌরসভার ত্রিঘরিয়া এলাকার দলটা ভিটা ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো-উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের মধ্য বদলকোট গ্রামের হারুনুর রশীদের ছেলে হাসিবুর তানিম (১৬), একই ইউনিয়নের কুরিয়ার বাড়ির মানিক মিয়ার ছেলে সফিকুল ইসলাম জয় (১৬) ও একই ইউনিয়নের মো. রায়হান (১৭)। তারা সবাই স্থানীয় বদলকোট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার রাতে ৪ বন্ধু একটি মোটরসাইকেলযোগে উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের একটি চায়ের দোকানে চা খেতে যায়। চা খেয়ে চার বন্ধু একই মোটরসাইকেলে করে নিজ গ্রামের উদ্দেশে রওনা দেয়। যাত্রা পথে মোটরসাইকেল চাটখিল পৌরসভার ত্রিঘরিয়া এলাকার দল্টা ভিটা ব্রিজ অতিক্রম করার সময় নিয়ন্ত্রণ হারায়। পরে মোটরসাইকেলটি সড়কের পাশে থাকা কড়ই গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে পুনরায় সড়কের উল্টো পাশের গাছের সাথে ধাক্কা খায়। এতে মোটরসাইকেল আরোহী ৩ বন্ধু গুরুতর আহত হয়।
পরে স্থানীয়রা তানিমকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক একইদিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করে। দুর্ঘটনার দুইদিন পর বুধবার সকাল পৌনে ৯টায় জয় ঢাকার মালিবাগ পিপলস হসপিটালে ও সকাল সোয়া ৯টার দিকে রায়হান ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। বুধবার সন্ধ্যায় তাদের দু’জনকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, তাদের মৃত্যুর বিষয়টি শুনেছি। তবে বিষয়টি কেউ পুলিশকে অবহিত করেনি।

