যখন বিদায়ের আশঙ্কা ঘিরে ধরেছে, তখনই দৃশ্যপটে কিংবদন্তির আবির্ভাব—ঠিক যেমনটা হয় গল্পে। ইন্টার মায়ামির হয়ে লিওনেল মেসিও করে দেখালেন তেমনই কিছু। কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে লস অ্যাঞ্জেলেস এফসির কাছে ১-০ গোলে হারের পর দ্বিতীয় লেগে শুরুতেই আরও একটি গোল খেয়ে বসেছিল মায়ামি। কিন্তু এরপর আর্জেন্টাইন জাদুকরের পায়ের ছোঁয়ায় বদলে গেল পুরো দৃশ্যপট।
বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকালে ঘরের মাঠ ফোর্ট লডারডেলের চেজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় লেগে মেসির জোড়া গোলে ৩-১ ব্যবধানে জয় পায় ইন্টার মায়ামি। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ গোলের ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের সেমিফাইনালের টিকিট কেটে নেয় তারা।
ম্যাচের নবম মিনিটেই অ্যারন লংয়ের গোলে এগিয়ে যায় লস অ্যাঞ্জেলেস এফসি। ফলে সমগ্র স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-০, কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে মায়ামি। তবে ৩৫ মিনিটে ‘চিরচেনা’ বাঁ পায়ের শটে গোল করেন মেসি, যা ঠেকাতে পারেননি লস অ্যাঞ্জেলেসের ফরাসি গোলকিপার হুগো লরিস। বিরতির পর ৬১ মিনিটে নোয়াহ অ্যালেনের গোল এনে দেয় সমতা।
তবু দুই লেগ মিলিয়ে ২-২ সমতা থাকলেও অ্যাওয়ে গোলের নিয়মে তখনো এগিয়ে ছিল এলএএফসি। এমন সময় ৬৭ মিনিটে মেসির পাস থেকে লুইস সুয়ারেজের হেডে বল জালে জড়ালেও অফসাইডের কারণে তা বাতিল হয়। কিন্তু থেমে থাকেনি মায়ামি। একের পর এক আক্রমণে চাপে ফেলে দেয় প্রতিপক্ষকে।
শেষ পর্যন্ত ৮৪ মিনিটে এলএএফসির ডিফেন্ডার মারলনের হাতে বল লাগায় ভিএআর-এর সহায়তায় পেনাল্টি পায় মায়ামি। সেখান থেকে নিশ্চিতভাবেই গোল করেন লিওনেল মেসি। শেষ মুহূর্তে লস অ্যাঞ্জেলেসের দুটি ভয়ঙ্কর আক্রমণ রুখে দেন মায়ামির আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক অস্কার উস্তারি, নিশ্চিত করেন দলের সেমিফাইনাল যাত্রা।
সেমিফাইনালে মায়ামির সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ মেক্সিকোর পুমাস অথবা এমএলএসের কানাডিয়ান ক্লাব ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপস। প্রথম লেগ অনুষ্ঠিত হতে পারে এ মাসের ২২, ২৩ অথবা ২৪ তারিখে।