মেশিনে লাগানো ধানে হাসছে মাঠ

0

কুমিল্লায় মেশিনে লাগানো ধানে হাসছে মাঠ। হাতে থেকে মেশিনে লাগানো ধানের কুশির সংখ্যা বেড়েছে। ২০ ভাগ ফলন বাড়বে বলে মতামত কৃষি অফিসের।

সূত্রমতে, ১১টি উপজেলায় ৫০ একর করে ৮০৩ জন কৃষক ৫৫০ একর জমিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের সাহায্যে চারা রোপন করেন। এছাড়া বুড়িচং, লাকসাম ও সদর দক্ষিণ উপজেলায় সমলয় চাষাবাদের ব্লক প্রদর্শনীর অধীনে ৫০ একর করে মোট ২৩৫ জন কৃষকের আরো ১৫০ একর জমি রোপনে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার ব্যবহৃত হয়। এদিকে চান্দিনা উপজেলায় ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় কুমিল্লার সহযোগিতায় ৩০ জন কৃষকের ১৩ একর জমিতে নেমেছে চারা রোপনের যন্ত্র। জেলায় মোট ৭১৩ একর জমিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের সাহয্যে রোপন করা হয়েছে। 

মাশোরা গ্রামের কৃষক মাসুদ মিয়া, জাবেদ হোসেন ও কাজী আদিল উদ্দিন ইউসুফ বলেন, রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের সাহায্যে মাত্র ৩০ মিনিটে এক বিঘা জমি রোপন করা যায়। খরচ হয় মাত্র এক হাজার টাকা। অন্যদিকে শ্রমিক দিয়ে এক বিঘা জমি হাতে লাগাতে পাঁচজন শ্রমিক লাগে। খরচ চার হাজার টাকা। তাছাড়া সিডলিং ট্রেতে চারা তৈরি করলে এক বিঘা জমিতে ৫০ একর জমির চারা তৈরি সম্ভব হয়। 

কৃষি উদ্যোক্তা ওমর খৈয়াম শাকুর বলেন, রাইস ট্রান্সপ্লান্টার ক্রয় করে প্রথমে নিজের ৪একর জমি চাষ করি। আমারটা দেখে অন্যরাও আগ্রহী হয়। এই এলাকায় এবার ১০০বিঘার উপর জমি মেশিনে চাষ হয়েছে। 
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সাহেদ হোসেন বলেন, এখানে ১২০ বিঘা জমিতে মেশিনে ধান লাগানো হয়েছে। আগে প্রতি কানিতে খরচ হতো আড়াই হাজার টাকা। এবার সেখানে এক হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
 
বুড়িচং উপজেলার কৃষি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ বানিন রায় বলেন, একসাথে বীজতলা করলে জমি কম লাগে। শ্রমিকের খরচও কম। সময় বাঁচে। সময় কম লাগায় অন্য ফসল লাগানোর সময় পাওয়া যায়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের বিভিন্ন  উপজেলায় ৭শ’হেক্টরের বেশি জমিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে ধান আবাদ হয়েছে। এর সুবিধা এক সাথে লাগানো ও এক সাথে ফসল কাটা যায়। এতে উৎপাদন খরচ কমে আসে। 

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here