মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় অস্ত্র-গুলিসহ ২৩ মামলার আসামি জলদস্যু পিয়াস সরকার (৩০)-কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের মেঘনা নদীতে ডাকাতির সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় পুলিশ ও জলদস্যুতার সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে গোলাগুলি হয়।
একটি পিস্তল, দুটি গুলি, ছুরি, ৩টি ককটেল ও দস্যুতার কাজে ব্যবহৃত তিনটি ট্রলার জব্দ করেছে পুলিশ।
পুলিশ সুপার আসলাম খান বলেন, গ্রেফতার পিয়াস সরকার মেঘনা নদীর শীর্ষ জলদস্যু। এছাড়া তিনি মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজির সঙ্গেও জড়িত। বুধবার বিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি গুয়াগাছিয়া এলাকায় পিয়াসের নেতৃত্বে জলদস্যুর একটি দল অস্ত্র নিয়ে ডাকাতি করবে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থান্ডার খায়রুল ইসলামের নেতৃত্বে বিকালেই পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান শুরু করে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতিতে ডাকাত দলের সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশও পাল্টা ১০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে।
একপর্যায়ে পিয়াসকে রেখেই তার সঙ্গীরা পালিয়ে যায়। পরে পিয়াসকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। পিয়াসের বিরুদ্ধে ডাকাতি, অস্ত্র, চাঁদাবাজি, দস্যুতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২২টি মামলা রয়েছে। ৫টি মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি তিনি।
পুলিশ সুপার বলেন, এমন কোনো অপকর্ম নেই যা জলদস্যু পিয়াস করতেন না। তার ভয়ে পুরো গুয়াগাছিয়াসহ মেঘনা নদীতে যাতায়াতকারী জাহাজ, মানুষজন ভীত ছিল।
এদিকে পিয়াস সরকারের গ্রেফতারে স্বস্তি প্রকাশ করে গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নবাসী। কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, পিয়াস শীর্ষ সন্ত্রাসী ছিল। তিনি এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। এমন কোন অপকর্ম নেই যা তিনি করতেন না। কেউ কোনো কথা বললে হাত-পা ভেঙে দিতেন। ২০২১ সালে গুয়াগাছিয়া এলাকার এক ব্যক্তির সদ্য বিয়ে করা স্ত্রীকে দু’দিনের জন্য তুলে নিয়ে যান। জীবন হারানোর ভয়ে ওই দম্পতি মামলা করারও সাহস পায়নি। স্থানীয়রা পিয়াস ও তার বাহিনীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।