মানুষের মুখের আকৃতিকে আসলে কোনো কিছুর সঙ্গে তুলনা করাটা কঠিন। তবুও আমরা বলে থাকি লম্বাটে মুখ, গোলাকার মুখ, চৌকাকৃতির মুখ এমনকি ডিম্বাকৃতির মুখ। কোন হেয়ার কাটে কেমন লাগবে সেটা কিন্তু শুধু মুখের গড়নের ওপর নির্ভর করে না। সঙ্গে আরও যেসব বিষয়ের ওপর খেয়াল রাখতে হবে তা হলো উচ্চতা, গায়ের রং, স্বাস্থ্য, বয়স এবং পেশা। যেমন- যারা কেবিন ক্রু তাদের জন্য উন্নত দেশগুলোয় ক্রিউ কাট বেশ জনপ্রিয়। আর এই ক্রিউ কাটটা নিশ্চয় কলেজ পাড়ার কোনো মেয়েকে করিয়ে দিলে খুব একটা ভালো দেখাবে না! তাই চুলের কাটছাঁটের ক্ষেত্রে পেশাকেও গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
চুলের কাটের সময় চুলের ধরন দেখা আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অর্থাৎ যার চুল খুব বেশি কোঁকড়ানো তাকে ভলিউম বাড়ায় এমন কাট কিংবা ‘লেয়ার কাট’ দিলে কিছুই বোঝা যাবে না। শুধু তাই নয়, এমন চুলের ধরনে লেয়ার কাট সেটও হবে না। ঠিক একইভাবে যাদের চুল স্ট্রেট তাদের নানা রকম লেয়ার কাটে ভালো দেখাবে। কিন্তু সোজা চুলে ভলিউম বাড়ায় এমন কাট করালে কিছুই বোঝা যাবে না। যাদের চুল হালকা ঢেউ খেলানো তারা দিতে পারেন ‘ভলিউম লেয়ার’।
তবে চেহারা গোলাকার হলে ব্যাংস করাতে পারেন। এ ধরনের মুখের গড়নে চুল ছোট হলে লেয়ার কাট করাতে পারেন। ওভাল শেপের মেয়েরা যেভাবেই চুলের স্টাইল করুক না কেন মানিয়ে যায়। কিন্তু চারকোণা শেপের অধিকারীরা চুল লম্বা রাখলেই বেশি মানাবে। চাইলে সামনের দিকে খানিকটা লেয়ার করে চুল চিবুকের প্রশস্ততা কমিয়ে আনে। লেয়ার হেয়ার কাটিং আয়তাকার মুখের জন্য সবচেয়ে ভালো। হার্ট শেপের মুখের গড়নে ব্যাংস, চাইনিজ কাট ভালো মানাবে। লম্বাটে মুখের গড়নে ফ্রন্ট লেয়ার করে পেছনে স্টেপ কাট করতে পারেন। যে কোনো পার্টি কার্লি করাতে পারেন।
হেয়ার কাট অবশ্যই লুক চেঞ্জে দারুণ ভূমিকা পালন করে। আর যদি এর সঙ্গে একটু হেয়ার কালার জুড়ে দিতে পারেন তবে দেখাতে বেশ ভালো লাগবে। আবার যাদের চুল অনেক দিন ধরে কোঁকড়ানো তারা চাইলে পারমানেন্ট হেয়ার স্ট্রেইট করে একটু ভিন্ন কাটের স্বাদ নিতে পারেন।