মিশরের সঙ্গে অন-অ্যারাইভাল ভিসা বিবেচনায়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

0

বাংলাদেশ ও মিশরের মধ্যে কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য দ্রুত ভিসা অব্যাহতি চুক্তি সই হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।

মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিসকক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মহি এলদিন আহমেদ ফাহমি সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে উপদেষ্টা এই কথা জানান।

তিনি বলেন, “পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতি চুক্তির খসড়া এরই মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মিশরকে পাঠানো হয়েছে। মিশরের অনুমোদনের পর দ্রুত এটি স্বাক্ষরিত হবে। সাধারণ পাসপোর্টধারীদের জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসা চালুর বিষয়টিও বিবেচনাধীন।”

বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে নিরাপত্তা, পুলিশ প্রশিক্ষণ, মানবপাচার রোধ, সন্ত্রাস দমন, গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়, আইনি সহায়তা ও সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

বৈঠকের শুরুতে রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “মিশর বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধুপ্রতিম দেশ। প্রাচীন সভ্যতা ও ইসলামী ঐতিহ্যের ধারক এই দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক আরো দৃঢ় করতে চাই।”

রাষ্ট্রদূত বলেন, “মিশরে আফ্রিকার অন্যতম সেরা পুলিশ প্রশিক্ষণ একাডেমি রয়েছে। বাংলাদেশকে প্রশিক্ষণসহ নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতা দিতে মিশর আগ্রহী।”

এ সময় উপদেষ্টা বলেন, “আন্তঃদেশীয় অপরাধ দমনে পারস্পরিক সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপত্তা সহযোগিতার পাশাপাশি মানবপাচার প্রতিরোধ ও আইনি সহায়তা নিয়ে চুক্তি হতে পারে।”

বাংলাদেশের নিরাপত্তা হুমকি বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, “রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বর্তমানে দেশের অন্যতম বড় নিরাপত্তা উদ্বেগ। সীমান্ত এলাকায় কিছু রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী তৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। মিশরকে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে আর্থিক সহায়তা ও প্রত্যাবাসনে নৈতিক সহযোগিতা দিতে আহ্বান জানাই।”

সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় মিশরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, “ইসরায়েলের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ দীর্ঘ সীমান্ত থাকা সত্ত্বেও মিশরের সীমান্তরক্ষী বাহিনী দক্ষতার সঙ্গে তা পরিচালনা করে আসছে। বাংলাদেশ-মিশর যৌথ প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা আয়োজন করলে বিজিবিও মিয়ানমার সীমান্তে আরও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে পারবে।”

বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্মসচিব (রাজনৈতিক-১) মো. জসীম উদ্দিন খান, এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আফ্রিকা অনুবিভাগের মহাপরিচালক বি এম জামাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here