রাজনীতিকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দেয়া-সরকারের অপরিণামদর্শী ও প্রাণঘাতী কার্যকলাপের পরিপ্রেক্ষিতে গণমাধ্যমে বিবৃতি প্রদান করেছেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।
মঙ্গলবার বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ‘রাষ্ট্র ক্ষমতাকে কুক্ষিগত রাখার অপকৌশল হিসেবে প্রচণ্ড বল প্রয়োগের মাধ্যমে রাজনীতির পরিসরকে রুদ্ধ করে সরকার জাতীয় রাজনীতিকে সহিংসতার পথে ঠেলে দিচ্ছে। সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেফতারের মধ্যদিয়ে সরকার রাজনীতিকে দৃশ্য থেকে অপসারিত করে সংঘাতের উস্কানি দিয়ে রাষ্ট্রীয় রাজনীতির বিদ্যমান সংকটকে আরো ঘনীভূত করছে। রাজনীতির মূল প্রশ্ন পাশ কাটিয়ে বল প্রয়োগ এবং সহিংসতার মাধ্যমে আরেকটা একতরফা নির্বাচনের নীল নকশার বাস্তবায়ন হবে-রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতাকে চরম বিপর্যয়ে ঠেলে দেয়া। ২৮ অক্টোবর যুগপৎ আন্দোলনের শান্তিপূর্ণ সমাবেশকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে এবং হিংস্র রূপে বানচাল করে সরকার দেশব্যাপী সহিংসতা ছড়িয়ে দিয়ে গণঅভ্যুত্থানকে স্তব্ধ করার অপপ্রয়সে লিপ্ত।
১. গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিরস্ত্র মানুষের উপর নির্বিচারে গুলিচালনাসহ সকল ধরনের হত্যা ও মধ্যযুগীয় বর্বরতা বন্ধ করতে হবে।
২. জনগণের অভিপ্রায়ের প্রতি সম্মান প্রদর্শন পূর্বক মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তি প্রদান ও সকল গায়েবি মামলা প্রত্যাহার এবং নির্বিচারে গ্রেফতার বন্ধ করতে হবে।
৩. বর্তমান সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে সরকারের পদত্যাগ ও অন্তর্বর্তীকালীন ‘জাতীয় সরকার’ গঠন করা।
৪. অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করা।
৫. গণবিরোধী রাষ্ট্রব্যবস্থা পরিবর্তন করে সকল জনগণের অংশগ্রহণমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা অর্থাৎ অংশীদারিত্ব মূলক রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রবর্তনে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা।
জাতীয় রাজনীতির অভ্যন্তরীণ বাস্তবতা ও ভূ রাজনীতির গতিপ্রকৃতি, মেরুকরণ ও তাৎপর্য-গভীরভাবে বিবেচনায় নিয়ে সরকারকে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার বাসনা পরিত্যাগ করে উপরোক্ত পাঁচ দফা বাস্তবায়নে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে ।