ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর টানা তৃতীয় রাত ধরে মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের উদ্ধারকারীরা ধ্বসংস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের জীবিত পাওয়ার আশায় প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
যন্ত্রপাতির ঘাটতি, একের পর এক পরাঘাতও তাদের দমাতে পারছে না। রবিবারও মান্দালয়ে আরেকটি ৫ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে।
উদ্ধার তৎপরতায় সহায়তা করতে এরই মধ্যে চীন, ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশের পাঠানো দল এবং ত্রাণ মিয়ানমারে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
রবিবার ভূমিকম্পের প্রায় ৬০ ঘণ্টা পর ক্ষতিগ্রস্ত অন্যতম সাগাইং অঞ্চলে ধসে পড়া একটি স্কুল ভবনের নিচ থেকে চারজনকে জীবিত ও একটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে মিয়ানমারের দমকল বিভাগের দেওয়া আপডেট থেকে জানা গেছে।
ওই স্থানে এখনও অভিযান চলছে, সাগাইংয়ের পাশাপাশি মান্দালয়েরও অসংখ্য বাসিন্দা তাদের প্রিয়জনের খোঁজ পেতে উদ্বিগ্ন হয়ে অপেক্ষা করছে।
এই উদ্ধার অভিযানের মধ্যেও মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটির কিছু অঞ্চলে বিদ্রোহীদের ওপর হামলা অব্যাহত রেখেছে। এ নিয়ে একাধিক দেশ সমালোচনাও করেছে। সর্বশেষ এ তালিকায় যুক্ত হয়েছে সিঙ্গাপুর। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান মিয়ানমারে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের আহ্বান জানিয়েছেন।
থাইল্যান্ডে তুলনামূলকভাবে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালগুলো পুরোদমে চলছে। ধসে পড়া বহুতল ভবনের জঞ্জাল সরিয়ে ভেতরে আটকে পড়াদের উদ্ধারের কার্যক্রমও একই সঙ্গে চলছে। ব্যাংককজুড়ে অনেক ভবন পরিদর্শন করে দেখছে কর্তৃপক্ষ।
শহরটিতে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৮-তে। এর মধ্যে ১১ জনের মৃতদেহ বহুতল ভবনের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে।
মিয়ানমারে এখন পর্যন্ত প্রায় এক হাজার ৭০০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, এখনো অনেকে নিখোঁজ।