মিয়ারমারে গত এক সপ্তাহে নতুন নির্বাচনী আইনে দুই শতাধিকেরও বেশি মানুষকে গ্রেফতার করেছে দেশটির জান্তা সরকার। দেশিটিতে নির্বাচন ঘনিয়ে আসতে ধরপাকড় শুরু হয়েছে।
তবে নির্বাচনকে ক্ষুন্ন করার বিরুদ্ধে এই আইন পর্যবেক্ষক একটি গ্রুপের সমালোচনার মুখে পড়েছে। তারা বলছেন, আইনটি শাসকগোষ্ঠীর সমালোচনা ও এবং তদন্ত বন্ধ করতে ব্যবহার করা হচ্ছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়র্টােসের এক প্রতিবেদন এ তথ্য নিশ্চিক করা হয়েছে। প্রতিবেদেন বলা হয়েছে, আগামী ২৮ ডিসেম্বরে মিয়ানমারে নির্বাচন হতে চলেছে। ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে বেসামরিক প্রশাসন উৎখাত হওয়ার পর প্রথম এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
এর আগে ২০১৫ এবং ২০২০ সালের নির্বাচনের সময় স্বীকৃত আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করা এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনস এক মূল্যায়নে বলেছে, জুলাইয়ে জান্তা সরকারের চালু করা নির্বাচনি সুরক্ষা আইন বড় ধরনের উদ্বেগের বিষয় হয়ে আছে। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ এই আইনের আওতায় অন্তত ২২৯ মানুষকে অভিযুক্ত করেছে। মিয়ানমারের জান্তা পরিচালিত গ্লোবাল নিউ লাইট এ সপ্তাহে এ খবর জানিয়েছে।
অভিযুক্তদের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি খবরে। তারা ঠিক কি শাস্তি পেতে পারে সে সম্পর্কেও কিছু বলা হয়নি। মিয়ানমার জান্তা সরকারের মুখপাত্র জ মিন তুনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি।
এই আইনে নির্বাচনে বিঘ্ন ঘটানো, বিক্ষোভ আয়োজন করা এবং সোশাল মিডিয়ায় সমালোচনা করা নিষিদ্ধ। আইন ভঙ্গে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে তার তিন বছরের জেল থেকে শুরু করে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।
‘দ্য এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশন’ (এএনএফআরইএল) এর তথ্যমতে, বয়কট স্টিকার লাগানো তরুণ জনগোষ্ঠী, চলচ্চিত্র পরিচালক এবং সোশাল মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পোস্ট দেওয়া শিল্পী এবং সাংবাদিকরা নতুন আইনে অভিযুক্ত হচ্ছে।
“শান্তিপূর্ণ ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন নিশ্চিত করার পরিবর্তে বরং নির্বাচন সুরক্ষা আইন ভিন্নমত দমনে, বিক্ষোভকারীদেরকে নিবৃত্ত করতে এবং স্বাধীন যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া রোধ করতে ব্যবহার করা হচ্ছে,” বলছে এএনএফআরইএল।

