মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আবারও গোলাগুলি। মর্টার শেলের শব্দে কেঁপে উঠলো কক্সবাজারের সীমান্তবর্তী উপজেলা টেকনাফ। কিছুক্ষণ পরপর থেমে থেমে গোলাগুলি ও মর্টার শেলের বিকট আওয়াজ শুনতে পেয়েছেন বলে জানান সীমান্তে বসবাসকারী টেকনাফের বাসিন্দারা।
সোমবার রাত ১১টা থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত টেকনাফ উপজেলার সীমান্ত এলাকায় থেমে থেমে গোলাগুলি ও মর্টার শেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে এসেছে। এতে সীমান্তে বসবাসকারী বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন।
টেকনাফ স্থলবন্দরে আমদানি পণ্য নিয়ে আসা মিয়ানমারের কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, টানা দেড় মাসের বেশি ধরে মংডুর উত্তর ও দক্ষিণের কয়েকটি গ্রামে গুলি, শক্তিশালী গ্রেনেড-বোমা ও মর্টার শেল বিস্ফোরণ ঘটছে। তাতে লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছে মংডু টাউনশিপসহ উত্তর দিকের কুমিরখালী, বলিবাজার, নাকপুরা, নাইচাডং, কোয়াচিডং, কেয়ারিপ্রাং, পেরাংপ্রুসহ বেশকয়েকটি গ্রাম।
সীমান্তের বাসিন্দা হ্নীলা ওয়াব্রাং এলাকার মো. রফিক বলেন, রাত ১২ থেকে এপারে থেমে থেমে বিকট শব্দ ভেসে আসছে। এতে বাড়িঘর তর তর করে কাঁপছে, বাড়ির ছোট ছোট শিশু ঘুম থেকে উঠে গেছে, আমাদের এলাকাবাসী অনেক ভয়ে আছে।
ফুলের ডেইল ও সুলিস পাড়ার বাসিন্দা জাফর ও, জামাল উদ্দিন বলেন, এধরণের গোলাগুলির আওয়াজ সবসময় শোনা যায়। তবে আগের চেয়ে আজকে অনেক বেশি আসছে।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার রফিকুল ইসলাম বলেন, রাত ১২ টার পর থেকে শুরু হয়ে থেমে থেমে এপারে বিকট শব্দ ভেসে আসছে। এবং গত রাতে তারাবির নামাজের পরে আমরা পানের দোকান বসেছি। তখন হঠাৎ মিয়ানমারের ওপার থেকে এপারে কয়েকটি গুলি ও মর্টার শেলের বিকট আওয়াজ এসেছে। মনে হয়েছে যেন মাটি কেঁপে উঠেছে।
হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, গত কয়েকদিন ধরে মংডুর আশপাশের গ্রামগুলোতে দিনের বেলায় গোলাগুলি-মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেনি। তবে রাতের বেলায় কয়েকটি গ্রামে থেমে থেমে থেমে গুলির শব্দ শোনা যেত। কিন্তু গতরাতে পর পর বিকট শব্দ আসছে মর্টার শেল বিস্ফোরণ এপারের লোকজনকে ভাবিয়ে তুলেছে।আমি নিজেও শুনেছি।
টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, রোজার মাসেও রাতে বিস্ফোরণের শব্দ এপারের লোকজনের দুর্ভোগ ও শঙ্কা বাড়িয়ে তুলছে। শক্তিশালী গ্রেনেড বোমা ও মর্টার শেলের বিস্ফোরণে কাঁপছে টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যংপাড়া,চৌধুরীপাড়া, জালিয়াপাড়া, হাঙ্গরডেইল, কুলালপাড়া, অলিয়াবাদসহ বেশকটি গ্রাম। শিগগিরই যে বিস্ফোরণ বন্ধ হবে, তার লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না।