মালয়েশিয়ার স্বাধীনতা দিবস আগামী বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট)। ওইদিন স্বাধীনতার ৬৬তম বছরে পা দেবে এশিয়ার শিল্পোন্নত দেশ মালয়েশিয়া। স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে দেশটি।
তাইতো কাম্পুং এর (গ্রাম-গঞ্জের) অলিগলি থেকে শুরু করে বান্ডারের (শহরের) প্রশস্ত সড়ক সব জায়গা সাজানো হচ্ছে নানা অনুসঙ্গে। রাস্তাজুড়ে উড়ছে নীল, লাল ও হলুদ রঙের মালয়েশিয়ান পতাকা। রাজধানী কুয়ালালামপুর শহরও ছেয়ে গেছে নানা বর্ণের ব্যানার ও ফেস্টুনে।
মালয়েশিয়ার এবারের স্বাধীনতা দিবসের স্লোগান ‘মালয়েশিয়া মাদানি : তেকাদ পারপাডুয়ান পেনুহি হারাপান’। যার অর্থ একটি ঐক্যবদ্ধ, শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ জাতি গঠনে নেতা ও জনগণের সম্মিলিত অঙ্গীকারের প্রতীক। প্রায় এক লক্ষেরও বেশি লোকের উপস্থিতিতে এবার স্বাধীনতা দিবসের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান হবে প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রাজায়ায়।
দুই দশকের মধ্যে পঞ্চমবারের মতো পুত্রজায়ায় আবারও জাতীয় দিবস উদযাপনের জন্য সর্বস্তরের নেতা এবং জনগণের সমাবেশস্থল হবে। মালয়েশিয়া মাদানী ফ্রেমওয়ার্ক টেকসই, সমৃদ্ধি, উদ্ভাবন, সম্মান, আস্থা এবং সহানুভূতির ছয়টি মূল মন্ত্রকে অন্তর্ভুক্ত করে, যা বিশ্ব মঞ্চে দেশের মর্যাদা ও গৌরব পুনরুদ্ধার করার প্রচেষ্টা চালাবে। এর আগে ২০০৩, ২০০৫, ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে পুত্রাজায়ায় স্বাধীনতা দিবসের প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
সেই লক্ষ্যে পুত্রাজায়ার আশপাশের কয়েকটি সড়ক ও কিছু স্থান সাময়িক বন্ধ করে দিয়ে চলছে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজ প্রশিক্ষণ, অধিবেশন ও মহড়া। এ ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের দেওয়া হচ্ছে বিশেষ প্রশিক্ষণ।
এরই মধ্যে প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন বলে জানিয়েছেন দেশটির যোগাযোগ ও ডিজিটাল মন্ত্রী ফাহমি ফাদজিল, যিনি জাতীয় দিবস এবং মালয়েশিয়া দিবস ২০২৩ কমিটির চেয়ারম্যান। ১৯৫৭ সালের ৩১ আগস্ট ব্রিটিশদের কাছ থেকে রক্তপাতহীন প্রক্রিয়ায় স্বাধীনতা অর্জন করে দেশটি।