মালয়েশিয়ায় প্রায় চার হাজার অভিযান চালিয়ে ১৩ হাজার ৬৭৭ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। সংস্থাটির মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবান বলেছেন, ব্যাপক অভিযানের অংশ হিসেবে ৫২ হাজার ৩১৮ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত করে ১৩ হাজারের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে, অন্যান্য সংস্থা ৮ হাজার ৮০৯ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করে ইমিগ্রেশন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছে। যার ফলে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত আটক মোট অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা ২২ হাজার ৪৮৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
ইমিগ্রেশন আইনের অধীনে সন্দেহভাজন ইম্বিতে কর্তৃপক্ষের আকস্মিক অভিযানে আটক বিদেশির সংখ্যা ৫০৬ জন বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ৪৪৮ জন পুরুষ, যাদের বেশিরভাগই বাংলাদেশ (১৬৫ জন) এবং নেপালের (১২৪ জন)। ৫৮ জন নারীকেও আটক করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ৪০ জন ইন্দোনেশিয়ান এবং ১৮ জন নেপালি।
জালান বারাত, জালান মেলাতি এবং জালান খু তেয়িক ই-এর আশেপাশের চার তলার ছয়টি আবাসিক ব্লক লক্ষ্য করে এই অভিযান চালানো হয়। জাকারিয়া বলেন, অভিযানের জন্য মোট ১৮৫ জন ইমিগ্রেশন অফিসার নিযুক্ত ছিলেন। মেদান ইম্বিতে, ১৪৬ জন মালয়েশিয়ানসহ মোট ৮৯৫ জন ব্যক্তির স্ক্রিনিং করা হয়েছিল।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে গ্রেপ্তারকৃতদের বেশিরভাগই বৈধ পরিচয়পত্র ছাড়াই ছিলেন। অনেকের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। তারা প্রবেশ পাসের শর্ত লঙ্ঘন করেছিলেন।
তবে জাকারিয়া বলেন, অভিযানের সময় কর্তৃপক্ষ এখনও জাল নথি ব্যবহার করে এমন কাউকে খুঁজে পায়নি। সন্ধ্যা ৭.৩০ টার দিকে শুরু হওয়া অভিযানে কিছু অভিবাসী শ্রমিক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। অনেকেই তাড়াহুড়োয় তাদের জুতা ফেলে খালি পায়ে রাস্তায় দৌড়াতে থাকে।
যারা পালানোর চেষ্টা করেছিল তাদের মধ্যে একজন মায়ানমারের এবং একজন নেপালি ছিলে। যাদের দুজনকেই সাদা পোশাকের ইমিগ্রেশন অফিসাররা ধাওয়া করেছিল। অফিসারদের এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টায় থাকা দুজনই পড়ে যান এবং সামান্য আহত হন।
অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার বিভাগের কর্মীরা তাদের তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসা দেন। এদিকে, অসুস্থ বোধ করার পর একজন গর্ভবতী ভারতীয় নাগরিকের চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। তাকে আরও চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।