মালয়েশিয়ায় বিজয় মেলা ও গ্লোবাল এক্সেলেন্স আইকন অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠিত

0
মালয়েশিয়ায় বিজয় মেলা ও গ্লোবাল এক্সেলেন্স আইকন অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠিত

প্রবাসেও বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসের চেতনাকে ধারণ ও ছড়িয়ে দিতে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত হলো বিজয় মেলা ও গ্লোবাল এক্সেলেন্স আইকন অ্যাওয়ার্ড। বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে এই ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন করে গ্লোবাল স্টুডেন্ট অ্যালায়েন্স মালয়েশিয়া (জিএসএএম)।

গত ২০ ডিসেম্বর মালয়েশিয়ার জি টাওয়ার হোটেলে বাংলাদেশের ৫৪তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি শুধু বিজয় দিবস উদযাপনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না; বরং মালয়েশিয়ার বহুসাংস্কৃতিক সমাজের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি আন্তঃসাংস্কৃতিক বন্ধনও তৈরি করে।

দিনব্যাপী আয়োজিত বিজয় মেলায় অংশ নেন মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। মেলায় ছিল ঐতিহ্যবাহী পিঠা-পুলিসহ নানা ধরনের মুখরোচক বাংলাদেশি খাবারের সমাহার, যা উপস্থিত সবার দৃষ্টি কাড়ে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ার নেগেরি সেম্বিলান রাজপরিবারের সদস্য ওয়াই এম দাতো’ পদুকা সেরি এম্বি ডি আর হাসনিজাল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাইকমিশন মালয়েশিয়ার ডেপুটি হাইকমিশনার মিস শাহান আরা মনিকা, বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মিশনের প্রতিনিধিরা।

অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন সময় সামাজিক ও মানবিক কাজে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৩৭ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে গ্লোবাল এক্সেলেন্স আইকন অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এদের মধ্যে বাংলাদেশ প্রতিদিন মালয়েশিয়া প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম হিরনও রয়েছেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও পেশাজীবী ড. মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, ড. মনিরউদ্দিন চৌধুরী, ড. এইচ.এন.এম. একরামুল মাহমুদ, প্রফেসর ড. আসিফ মাহবুব করিম এবং ড. টিল কুমারি রানা।

অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। ছোট ছোট শিশুরা তাদের সৃজনশীলতা ও দেশপ্রেমের অনুভূতি রঙ-তুলির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলে। পাশাপাশি বাংলাদেশের সংগীত, নৃত্য পরিবেশনা ও ঐতিহ্যবাহী পোশাক প্রদর্শনী অনুষ্ঠানকে করে তোলে আরও প্রাণবন্ত।

গ্লোবাল স্টুডেন্ট অ্যালায়েন্স মালয়েশিয়ার নেতৃত্বে ছিলেন চেয়ারম্যান দাতো’ রোশন দাস। সংগঠনের উপদেষ্টা মাহবুব আলম শাহ, প্রেসিডেন্ট ড. এ.কে.এ. লিটন, কো-চেয়ারম্যান মো. আজিজুল হক, ফাউন্ডার মোছা. শামিমা আক্তার ও মো. রমজান এবং জেনারেল সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট সুবর্ণা আক্তার অনুষ্ঠানের সফল বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

এছাড়া প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ও শিক্ষার্থী সম্পর্ক বিষয়ক দায়িত্বে ছিলেন তাজরিয়ান বিনতে রহমান ও মো. হাসিবুর রহমান শোহাগ। সংস্কৃতি সমন্বয়কারী শৌরভ তারাফদার, স্বেচ্ছাসেবক নেতা মো. হাফিজুর রহমান এবং ইনগেজমেন্ট টিমের ইভেন্ট কো-অর্ডিনেটর জান্নাতুল ফেরদাউস কানা, মিডিয়া ম্যানেজার রেজুয়ানা বিনতে রেজা ও পারভেজ মো. তাইউব আলী অনুষ্ঠান আয়োজনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here