যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সহযোগীরা বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটসহ দেশটির তিনজন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিককে পদত্যাগ করতে বলেছেন। ট্রাম্পের ওই সহযোগীরা মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের লোকবল ও অভ্যন্তরীণ সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিষয়টির সঙ্গে সম্পর্কিত দুজন কর্মকর্তার বরাতে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সূত্রটি জানিয়েছে, মার্শা বার্নিকাট ছাড়া বাকি দুই জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক হলেন ডেরেক হোগান ও আলেইনা তেপলিৎজ।
বলা হচ্ছে, ট্রাম্প ক্ষমতা নেওয়ার পর কূটনৈতিক বহরে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারেন। এই পরিস্থিতিতে তিন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিককে নতুন প্রশাসনের হয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রদবদলের দায়িত্বে থাকে এজেন্সি রিভিউ টিম পদত্যাগ করতে বলাটা সেটারই ইঙ্গিত দেয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের লোকবল ও অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ দেখভালের দায়িত্বে থাকা তিন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিককে দায়িত্ব ছাড়তে বলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের সহযোগীরা। বার্তা সংস্থা রয়টার্স গতকাল শনিবার তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েেছে।
নতুন প্রশাসনের হয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রদবদলের দায়িত্বে থাকে এজেন্সি রিভিউ টিম যে তিন কর্মকর্তাকে পদ ছাড়তে বলেছে, তারা হলেন- ডেরেক হোগান, মার্শা বার্নিকাট ও আলেইনা তেপলিৎজ।
যুক্তরাষ্ট্রে সচরাচর দেখা যায়, প্রশাসনে রাজনৈতিক নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা নতুন প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব নেওয়ার পরপর নিজেরাই পদত্যাগ করেন। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সাধারণত নিজেদের দায়িত্ব চালিয়ে যান। এখন যে তিনজন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিককে পদ ছাড়তে বলা হয়েছে, তারা ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান—উভয় প্রশাসনে রাষ্ট্রদূতসহ গুরুত্বপূর্ণ সব দায়িত্ব পালন করেছেন, করছেন।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, উদ্বেগের বিষয় হলো, এটা আরও বড় ধরনের খারাপ কিছুর পটভূমি তৈরি করতে পারে।
প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ট্রাম্পের ক্ষমতাগ্রহণ–সংক্রান্ত অন্তর্বর্তী দলের মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেন, ‘আমাদের জাতি ও আমেরিকার কর্মজীবী নারী–পুরুষকে প্রথমে রাখার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি শ্রদ্ধা পোষণ করেন, এমন কর্মকর্তাদের খুঁজে বের করতে অন্তর্বর্তী দলের পক্ষ থেকে চেষ্টা করাটা খুবই স্বাভাবিক।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের অনেক ব্যর্থতা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্টা করে যেতে হবে। আর এ জন্য একই লক্ষ্যের প্রতি মনোযোগ রয়েছে, এমন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একটি দল দরকার।’
অন্যদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, এ বিষয়ে নিজস্ব কোনো ঘোষণা দেবে না মন্ত্রণালয়। আর পদত্যাগ করতে বলা তিন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকের কেউই প্রুতিক্রিয়া জানানোর অনুরোধে সাড়া দেননি।