বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি আয়োজিত ‘মার্চ ফর ইউনিটি’তে যোগ দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির হেলথ উইংয়ের প্রায় পাঁচ শতাধিক চিকিৎসক। জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে মার্চ করে তারা শহীদ মিনারে যোগদান করেন।
মঙ্গলবার ‘মার্চ ফর ইউনিটি’তে যোগ দিতে যাওয়ার মিছিলে ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. আব্দুল আহাদ, কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. মিনহাজুল আবেদীন, ডা. মাহমুদা মিতু। আরও উপস্থিত ছিলেন হেলথ উইংয়ের ডা. আব্দুল্লাহ জামিল তিহান, ডা. হুমায়ুন কবীর হিমু ও ডা. মাহমুদুল হাসান।
জাতীয় নাগরিক কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. আব্দুল আহাদ বলেন, আজ সবার সাথে মেলবন্ধনের দিন। ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়ে বিশ্বের সেরা স্বৈরাচার, খুনি হাসিনাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। খুনি হাসিনার বিতাড়নে পেছনে ছিল দেশপ্রেমিক মানুষ। খুনি হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আজকের ‘মার্চ ফর ইউনিটি’তে যোগদান করা প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক তরুণ দেখিয়ে দিয়েছে দেশে স্বৈরাচারের স্থান নেই।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের স্বাস্থ্যখাতে নানাবিধ সমস্যা আছে। স্বৈরাচারের দোসররা ঘাপটি মেরে বসে আছে। তাদের থেকে স্বাস্থ্যখাতকে বাঁচাতে হবে। জাতীয় নাগরিক কমিটির হেলথ উইং স্বাস্থ্যখাতের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছে। চিকিৎসকদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে আমরা কাজ শুরু করেছি। বেসরকারি চিকিৎসকদের বেতন কাঠামো নেই। গত ১২ বছরের বেশি সময় ধরে তাদের বেতন বাড়ছে না। আমরা তাদের সম্মানজনক বেতন কাঠামো নিয়ে কাজ শুরু করেছি।
কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. মিনহাজুল আবেদীন বলেন, বিসিএসে চিকিৎসকদের বয়সসীমা বৃদ্ধি করে ৩৪ করার জন্য আমরা কয়েকবার স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী ও স্বাস্থ্য সচিবের সাথে কথা বলেছি। কিছুদিনের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি হবে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আধুনিক করতে জাতীয় নাগরিক কমিটি অন্যতম ভূমিকা পালন করবে।
‘মার্চ ফর ইউনিটি’তে অংশগ্রহণকারী চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান ডা. আব্দুল আহাদ।
হেলথ উইং শহীদ মিনারে একটি মেডিকেল বুথে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’তে অসুস্থদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করে।