মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর এবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরকে ‘মিথ্যাবাদী’ আখ্যা দিয়েছেন। বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স। মূলত মেক্সিকান সরকারের মানবাধিকার রেকর্ড ইস্যুতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নতুন তথ্য সামনে আসার পর তিনি এই দাবি করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নতুন এক প্রতিবেদনে মেক্সিকোর লোপেজ ওব্রাডর সরকারের মানবাধিকার রেকর্ডের সমালোচনা করা হয়। একইসঙ্গে সেখানে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছে বলে নানা তথ্যও যুক্ত করা হয়। আর এরপরই মঙ্গলবার মানবাধিকার বিষয়ে নিজের সরকারের রেকর্ডের সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করেন প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর। এছাড়া সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রতিবেদনকেও ‘মিথ্যা’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘দায়মুক্তি ও বিচারের অত্যন্ত কম হার মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং দুর্নীতিসহ সকল ধরনের অপরাধের জন্য সমস্যা হিসাবে রয়ে গেছে’। একইসঙ্গে মেক্সিকোতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতার সমালোচনাও এতে করা হয়েছে। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন এই প্রতিবেদনে সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে মেক্সিকান প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করেন। সাংবাদিকদের কাছে তিনি দাবি করেন, ‘তারা মিথ্যা বলছে।’
লোপেজ ওব্রাডর উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘নিজেদেরকে সারা বিশ্বের সরকার বলে মনে করে’। মঙ্গলবার মেক্সিকোতে সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সাথে দেখা করার কথা ছিল লোপেজ ওব্রাডরের। এর আগে অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এটি নিয়ে ক্ষুব্ধ হওয়ার কিছুই নেই, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) ঠিক এমনই। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনটি ‘সত্য নয়, তারা মিথ্যাবাদী।’