মার্কিন অভিবাসন দফতরের ডিটেনশন সেন্টারে চলতি বছর ৩২ ‘অবৈধ’ অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। যা ২০০৪ সালের পর এক বছরে সর্বোচ্চ। এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্থা ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’।
আমেরিকান ইমিগ্রেশন লইয়্যার্স অ্যাসোসিয়েশন ও অভিবাসীদের নিয়ে কর্মরত সংগঠনগুলোর তথ্য অনুযায়ী, ২০০৪ থেকে চলতি বছর পর্যন্ত ডিটেনশন সেন্টারে বিনা চিকিৎসায় অথবা অবহেলাজনিত কারণে ২৬২ অভিবাসীর প্রাণহানি ঘটেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘটেছে প্রেসিডেন্ট বুশের শেষ ৫ বছরে, ৯২ জন।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের তথ্য অনুযায়ী, ট্রাম্পের চলতি মেয়াদের শুরুর দিন থেকেই অবৈধ অভিবাসী দমনের অভিযান জোরদার করা হয়েছে।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশি আমেরিকান অ্যাটর্নি অশোক কর্মকার ও অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী জানান, রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনার পর প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকা আবেদনকারীদের প্রায় সকলেই ওয়ার্ক পারমিট পেয়েছেন। তাদেরও লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। তাদের ছোট-খাটো কারণেও গ্রেফতারের পর নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
গ্রেফতারদের রাতারাতি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দূরবর্তী ডিটেনশন সেন্টারে। যেখানে চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই বললেও চলে।— এমন অভিযোগ কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাটিক সদস্য প্রমিলা জয়পালের। তিনি জানিয়েছেন, দ্রুত এ নিয়ে কংগ্রেসে একটি শুনানির আয়োজন করা হচ্ছে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ট্রিসিয়া ম্যাকলোলিন। তিনি বলেছেন, ডিটেনশন সেন্টারে পৌঁছার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই আটকরা চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন। আর ১৪ দিনের মধ্যেই সকলকে চিকিৎসকের কাছে নেওয়া হয়। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই সবার স্বাস্থ্য সেবার ব্যবস্থা রয়েছে।

