মায়ামির টানা চতুর্থ জয়ে যেভাবে অবদান রাখলেন মেসি

0

ফ্রান্সের পিএসজি থেকে আমেরিকার ইন্টার মায়ামিতে যোগ দিয়েছেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন এই সুপারস্টার যোগ দেওয়ার আগে টানা ছয় ম্যাচে কোনও জয় ছিল না মার্কিন ক্লাবটির। এরপর মেসি আসলেন, জয়ের ধারায় ফিরল মায়ামি। সেই জয়ের গতি চলছেই। টানা চতুর্থ ম্যাচে জয় পেল মায়ামি। চারটি ম্যাচেই মেসির অবদান উল্লেখযোগ্য।

এই চার ম্যাচের প্রথম তিনটি ছিল ঘরের মাঠে। চতুর্থ ম্যাচটি ছিল অ্যাওয়ে। এই ম্যাচে মেসির অবদান অনস্বীকার্য।

যে সমতায় চড়ে ম্যাচ গেল টাইব্রেকারে। আর সেখানে ৫-৩ ব্যবধানে জিতে লিগস কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিল ইন্টার মায়ামি।

ডালাসের টয়োটা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচটি ছিল ইন্টার মায়ামির জার্সিতে মেসির প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচ। আগের ৩ ম্যাচে ৫ গোল করা আর্জেন্টাইন তারকা প্রতিপক্ষের মাঠে গোল পেয়েছেন শুরুতেই। ম্যাচের ৬ মিনিটেই বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া জোরালো শটে বল জালে জড়ান মেসি। মার্কিন লিগে এটিই তার দ্রুততম গোল। তবে শুরুর এই লিড ধরে রাখতে পারেনি মায়ামি। 

প্রথমার্ধের শেষ দিকে আট মিনিটের ব্যবধানে দুটি গোল দিয়ে ফেলে ডালাস। এর মধ্যে ৩৭ মিনিটে গোল করেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার ফাকুন্দো কুইগনোন, ৪৫তম মিনিটে তানজানিয়ার বার্নার্ড কামুনগো।

প্রথমার্ধের শেষ দিকের এই ছন্দ দ্বিতীয়ার্ধেও ধরে রাখে ডালাস এফসি। এ সময়ে মায়ামি রক্ষণে একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে যায় দলটি। যে ধারায় ৬৩ মিনিটে ডালাস পেয়ে যায় তৃতীয় গোলও। ফ্রি কিক থেকে আসা বলে পা ছুঁইয়ে বল জালে জড়ান ২১ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন উইঙ্গার অ্যালান ভ্যালেসকো। 

ম্যাচের ওই মুহূর্তের ডালাস যে গতিতে ছুটছিল, তাতে মায়ামির হারই ধরে নিয়েছিলেন অনেকে। তবে বদলি নামা বেঞ্জামিন ক্রেমাশ্চি দ্রুতই মায়ামিকে লড়াইয়ে ফেরান। জর্দি আলবার গোলমুখে বাড়ানো বল জালে জড়িয়ে ব্যবধান ৩–২ করেন যুক্তরাষ্ট্রের ১৮ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার।

এর পাঁচ মিনিট পরই ম্যাচে আবার নাটকীয়তা। এবার নিজেদের জালে বল জড়িয়ে দেন মায়ামির মিডফিল্ডার রবার্ট টেলর। তবে আত্মঘাতি থেকে পাওয়া গোলের সুবিধাটা বেশিক্ষণ রাখতে পারেনি ডালাস। ৮০ মিনিটে মায়ামিকে আত্মঘাতি গোল ‘উপহার’ দেন ডালাসের মার্কো ফারফান।

তবে এই গোলে ‘অ্যাসিস্টে’র দাবি করতেই পারেন মেসি। তার নেওয়া মাপা ফ্রি কিকেই হেডে বল জালে জড়ান ফারফান। ম্যাচের স্কোরলাইন পরিণত হয় ৪–৩–এ। 

সমতা আনতে বাকি যে গোলটি দরকার ছিল, ৮৫ মিনিটে সেটিই এনে দেন মেসি। বক্সের সামান্য বাইরে পাওয়া ফ্রি কিক কাছের গোল পোস্ট দিয়ে জালে জড়ান আর্জেন্টাইন তারকা। দেয়াল হয়ে দাড়ানো ডালাস খেলোয়াড়রা লাফিয়ে উঠলেও নাগাল পাননি, বল যায় তাদের মাথার ওপর দিয়ে। ওদিকে গোলরক্ষক বল আসছে বুঝে সঠিক দিকে ঝাঁপিয়েও ঠেকাতে পারেননি মেসির ফ্রি কিক। এই গোলেই মায়ামিকে ৪–৪ সমতায় নিয়ে আসেন মেসি। এরপর টাইব্রেকারে ৫-৩ ব্যবধানে জেতে মেসির দল।

এই জয়ে লিগস কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিল মেসির নতুন ক্লাব ইন্টার মায়ামি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here